ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাপানে গণহত্যা দিবস পালিত

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০২৩
জাপানে গণহত্যা দিবস পালিত

ঢাকা: জাপানের টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে শনিবার (২৫ মার্চ) ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হয়েছে।  

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে কালো ব্যাজ ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

 

পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদত বরণকারী তার পরিবারের সদস্যসহ ২৫ মার্চ কালোরাতে ও নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের নাম জানা-অজানা ৩০ লাখ শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এছাড়া দিবসটি স্মরণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।  

আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ প্রথমেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের ভয়ঙ্কর কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদারদের ঘৃণ্য ও কাপুরুষোচিত আক্রমণে যেসব বীর বাঙালি শাহাদত বরণ করেছিলেন তাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। রাষ্ট্রদূত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। তিনি স্মরণ করেন জাতীয় চার নেতা, সব শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে। যাদের চরম ত্যাগের বিনিময়ে নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র লড়াই করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে।  

তিনি বলেন, ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত এ পাকিস্তানের দখলদার শাসক দ্বারা সংগঠিত এ গণহত্যার মূল উদ্দেশ্য ছিল ঢাকাসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান শহরগুলোতে বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা, ছাত্র ও স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলনকে কঠোর হাতে দমন করে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা।

রাষ্ট্রদূত বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। বক্তারা বিশ্বের সচেতন নাগরিকদের বাংলাদেশের গণহত্যাকে স্বীকৃতি দিতে এবং গণহত্যাকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের শেষে গণহত্যা দিবসের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৩
টিআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।