ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এমএস পরীক্ষার সার্টিফিকেট আনা হলো না আফসানার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এমএস পরীক্ষার সার্টিফিকেট আনা হলো না আফসানার আফসানার স্বজনদের আহাজারি।

গোপালগঞ্জ: এমএস পরীক্ষার সার্টিফিকেট আনা হলো না ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী আফসানা মিমির (২৬)। তিনি হর্টিকালচার থেকে এমএস করেছেন।

 

সার্টিফিকেট আনাতে যাওয়াই যেন কাল হলো আফসানার। এ কথা বলে চিৎকার করে আর্তনাদ করছেন আফসানার মা কানিজ ফাতেমা। তার আহাজারিতে আশপাশের লোক জড়ো হয়ে তাকে শান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনোভাবেই তাকে শান্ত করা যাচ্ছে না।  

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে মা কানিজ ফাতেমা ও ছোট বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপা গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু কলেজের সামনে থেকে আফসানাকে ইমাদ পরিবহনের বাসে উঠিয়ে দেন। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল তার।

আফসানার বাবা আবু হেনা মোস্তফা কামাল একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন। ছোট বেলায় আফসানার বাবা মারা যান। অনেক কষ্ট করে আফসানা ও তার বোন রুকাইয়া ইসলাম রূপার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন মা কানিজ ফাতেমা। আফসানা মি‌মির বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলা শহ‌রের হীরাবাড়ী রো‌ডে।

পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুর জেলার শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের এই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে গোপালগঞ্জের আফসানা মিনিসহ পাঁচজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

অন্যরা হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের সামচুল হক রোডের মাসুদ আলমের মেয়ে সুরভী আলম সুইটি (২২), গোপালগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক অনাদী রঞ্জন মজুমদার (৫৩), বাসের সুপার ভাইজার মানিকদাহ গ্রামের মিজানুর রহমান বিশ্বাসের ছেলে মিনহাজুর রহমান বিশ্বাস ও ড্রাইভার জাহিদ।  

পরিবহন সূত্রে জানা গেছে, খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটিতে গোপালগঞ্জ জেলা থেকে ১৪ জন যাত্রী ওঠেন। তবে, তারা নিশ্চিত করতে পারেনি এর মধ্যে কতজন মারা গেছেন।  

মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর এলাকায় ইমাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।