ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খাগড়াছড়িতে খাল দখল বন্ধ-স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
খাগড়াছড়িতে খাল দখল বন্ধ-স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি

খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ি শহরের খাল-ছড়ার অবৈধ দখল বন্ধ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন।

শুক্রবার (১০ মার্চ) সংগঠনটির সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবু দাউদ এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান।

 

তারা খাল-ছড়া বেআইনি বেদখল প্রতিরোধে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’ কর্তৃক সরেজমিন অনুসন্ধানপূর্বক দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত খাগড়াছড়ি খাল এবং রাঙাপানিছড়াসহ ছোটবড়ো প্রাকৃতিক নালাগুলোর দুইপাশ অবৈধ দখলের ফলে ক্রমশ সরু হয়ে আসছে। আসন্ন বর্ষার সময় উপরের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে নেমে আসা পানি শহরের মাঝ দিয়ে সহজে নেমে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম এ কয়টি খাল আর ছড়ার ধারণ ক্ষমতা কমে গেলে শহরের ভেতর প্রবল জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।

বিবৃতিতে আরও জানান- সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় শহরের মিলনপুর বাজার ব্রিজের দক্ষিণে এবং উত্তরে হোটেল জিরান এলাকা, বাজার মসজিদের পেছনের এলাকা, খাগড়াপুর কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন, মাস্টারপাড়ায় খাগড়াছড়ি খালের পূর্বাংশ, ইসলামপুর এবং কলাবাগানের উত্তরাংশে এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ অনুমোদিত এসব অবকাঠামোর ফলে পানি স্বাভাবিক প্রবাহ মারাত্মক ব্যাহত হবে। পাশাপাশি অপক্ষোকৃত দরিদ্র মানুষের ভূমি-বসতবাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ছে।

বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে উল্লেখ করা হয়, শহরের মিলনপুর ব্রিজের পূর্ব ও পশ্চিম অংশে, খাগড়াপুর ব্রিজের পশ্চিমাংশে কয়েকজন প্রভাবশালী খাল দখল করে ধারক দেওয়াল নির্মাণ করে জায়গা বাড়িয়ে নিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড’-এর খাগড়াছড়ি প্রকৌশল শাখা এসব ধারক দেওয়াল নির্মাণে বিপুল টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।  

খাগড়াছড়ি পৌরসভার কোনো প্রকার অনুমতি বা আইনি অনুমোদন ছাড়া এসব অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে মূলত প্রভাবশালীদেরকে জনগণের টাকা অপচয় করে ‘তেলে মাথায় তেল’ দেওয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে জেলা শহরের মতো জায়গায় প্রকাশ্যে সংঘটিত এসব পরিবেশগত অপরাধ প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মী এবং প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এডি/এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।