ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট না দিয়ে আমাকেই মেরে ফেলতো

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট না দিয়ে আমাকেই মেরে ফেলতো

নীলফামারী: বোরো ধানের ক্ষেতে সেচ দেওয়ার ড্রেন নিয়ে বিরোধের জেরে পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ নিধন করেছে প্রতিপক্ষ। এতে ঋণ করে চাষ করা প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন পুকুর মালিক।

 

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের বোতলাগাড়ী মাঝাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ওই এলাকার আতিয়ার রহমান তার জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। সেই জমিসহ অন্যান্য চাষিদের জমিতে সেচ পাম্পের পানি নেওয়ার ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিবেশী জালে মামুদের ছেলে শফিকুল। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে ঝগড়া হয় উভয়ের মধ্যে।
 
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এরই মাঝে মাছ নিধনের ঘটনায় হতবাক আতিয়ার রহমান। তিনি বলেন, আমার বাবা মফিজ উদ্দীন ও মা খনিমুন নেছার নামে কৃষি খামার করেছি। কৃষি ব্যাংক সৈয়দপুর শাখা থেকে ২০ লাখ টাকা সিসি ঋণ নিয়ে এটি গড়ে তুলেছি। এক একর ২৫ শতক জমির ওপর এই পুকুর। দুই মাস হলো ২৭ মণ পোনা ছেড়েছি। এরই মাঝে এভাবে মাছগুলো মেরে ফেললো শফিকুল ও তার বাবা জালে। এতে আমার মাথায় হাত। প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি করে ফেললো তারা। এখন আমি কীভাবে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করবো? 

তিনি বলেন, এই সেচ ড্রেন তো নতুন নয়, অনেক পুরাতন। অথচ গায়ের জোরে সেটা বন্ধ করে দিয়ে অহেতুক বিরোধ সৃষ্টি করেছে শফিকুল। প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে আবার পুকুরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে এতবড় ক্ষতি করলো। জানি না তাদের কি লাভ হয়েছে। এরচেয়ে আমাকে মেরে ফেললেই পারতো।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।