ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২৯ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে পালালেন গাড়িচালক, অতঃপর.. 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
২৯ লাখ টাকার ইলিশ নিয়ে পালালেন গাড়িচালক, অতঃপর.. 

নেত্রকোনা: চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাঠানো প্রায় ২৯ লাখ টাকার ইলিশ মাছ নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দায় নিয়ে আসেন গাড়িচালন হাসান মিয়া।

ইলিশ পরিবহনকারী এ গাড়িচালককে আটক করেছে কলমাকান্দা উপজেলার সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের (ফাঁড়ি) পুলিশ।

 

নেত্রকোনা জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে পোস্ট করে জানানো হয়, বুধবার ভোরে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সিধলী বিষমপুর এলাকা থেকে হাসান মিয়াকে আটক করা হয়। আটক হাসান মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের গন্মানপুরুরা গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছ নিয়ে পালিয়েছিলেন তিনি।

ইলিশের এতো বড় চালান নিয়ে পালানোর বিষয়টি স্বীকার করেন হাসান। তিনি জানান, মোট ৫৬ টি ককশিট বক্সে ২৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার ইলিশ নিয়ে ঢাকায় না গিয়ে নেত্রকোনায় চলে এসেছেন তিনি।  

সিধলী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো এনামুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, অভিযুক্ত হাসান মিয়া নিয়মিতই মাছের চালান নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করতেন। এরই মাঝে তিনি মাছগুলি চুরির পরিকল্পনা করেন। হাসান মিয়া আমাদের হেফাজতে রয়েছেন। আমরা ইতোমধ্যে মাছগুলোর মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি গাজীপুর কালিয়াকৈর থানায় মাছ চুরির বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামি এবং আলামত সেই থানায় হস্তান্তর করা হবে।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে চট্টগ্রামের একটি মাছের আড়ত থেকে ইলিশ মাছের একটি চালান নিয়ে যাত্রাবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন গাড়িচালক হাসান মিয়া। পথে হাসানের সহযোগী শান্ত মিয়া, হক মিয়া, তাহের মিয়ার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মাছের চালান চুরির পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রাবাড়ীর পরিবর্তে গাজীপুরে এসে গাড়ি পরিবর্তন করে হাসান মাছগুলো নিয়ে চলে আসেন সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দার বিষমপুর গ্রামে তাহের মিয়ার বাড়িতে।  গভীর রাতে বাড়ির পাশে মাছের বক্সগুলো নীরবে রেখে দেন।

বুধবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কলমাকান্দার বিষমপুর গ্রামে প্লাস্টিক টেপ পেপারে মোড়ানো বেশকিছু ককশিট বক্সের সন্ধান পায় ফাঁড়ির পুলিশ। পরে ওই গ্রামের হক মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বক্সগুলো জব্দ করে।  
এ সময় বক্সগুলো খুলে প্রতিটি বক্সেই ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।  

পরে ওই বাড়িতে অবস্থানরত স্থানীয় এক নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে মাছগুলো হাসান মিয়ার বলে জানা যায়। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বিষমপুর গ্রামের তাহের মিয়ার বাড়ির পিছন থেকে হাসানকে আটক করে পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।