ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের কয়লা আমদানি শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের কয়লা আমদানি শুরু

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তের চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফের কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে। ২০দিন পর দ্বিতীয় দফায় এ আমদানি শুরু হলো।

সোমবার (০৯জানুয়ারি) দুপুরে কাস্টমস কর্মকর্তাস ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে কয়লা আমদানি শুরু হয়। এ সময় উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

এর আগে ১০ মাস বন্ধ থাকার পর গত সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রথম দফায় চারাগাও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি শুরু করে। একদিন পর কয়লা আমদানি করে বন্ধ হয়ে যায়।  

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে বন্ধ থাকা তিনটি (বড়ছড়া,বাগলী ও চারাগাঁও) শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সেই সঙ্গে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় ২০ হাজার শ্রমিক ও ৫ শতাধিক ব্যবসায়ীরা।

তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ সূত্রে জানা যায়, বড়ছড়া, বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়।  

২০১৪ সালে ভারতের মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরে টানা প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকে কয়লা আমদানি।

এরপর পুনরায় আমদানি শুরু হলেও তা আর নিয়মিত হয়নি। চলতি বছরের মার্চ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত প্রায় ১০ মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় তারা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

কয়লা আমদানি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকলে প্রায় ২০ হাজারের অধিক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন। সারা বছর চালু থাকে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে ব্যবসায়ীরা ভালো থাকেন শ্রমিকরাও জীবন জীবিকার অবলম্বন করতে পারে তার জন্য শুল্ক স্টেশনগুলো চালু রাখার দাবি জানাই।

তাহিরপুর কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন, সরকারের কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এবং শুল্ক স্টেশনের সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে বড়ছড়া,বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন সারাবছর চালু রাখা খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে সরকারকে গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাই।

রাজস্ব কর্মকর্তা বড়ছড়া আবুল হাসেম ভূঁইয়া জানান, এলসির মাধ্যমে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।