ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুয়াশা আর শীতে থমকে আছে মাদারীপুর

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
কুয়াশা আর শীতে থমকে আছে মাদারীপুর

মাদারীপুর: গত তিনদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর শীতে থমকে আছে মাদারীপুরের জনপদ। শীতল হাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজ-কর্ম।

দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বয়স্ক ও শিশুরা, আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্তও সূর্যের দেখা মেলেনি। বরং কুয়াশা আর শীত বাড়ছে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া লোকজন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই।

এদিকে সকাল ৮টা থেকে ঘন কুয়াশা পড়ায় জেলার সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এছাড়া বাইরে সাধারণ মানুষের পদচারণা কম থাকায় সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন কম রয়েছে।

তীব্র শীতে গত এক সপ্তাহে জেলাজুড়ে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের সংখ্যা। শিশু ও বয়স্করা ঠাণ্ডাজণিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে জেলা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে তিনশ’ রোগী। যার অধিকাংশই নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত। এছাড়া ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে দুইশ জন। এরমধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি।

জানা গেছে, গত দুইদিন ধরে জেলায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকায় বিপাকে পড়ছেন কর্মজীবীসহ নিম্ন আয়ের মানুষ। জেলার চরাঞ্চলের মানুষ আরো বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন। শীতের তীব্রতায় সন্ধ্যার পরে ও বেলা ১১ টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন বাজার শূন্য হয়ে যায়। এতে দৈনন্দিন খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তি। এদিকে বিভিন্ন স্থানের ফুটপাতের দোকান থেকে পুরানো শীতবস্ত্র কিনতে দেখা যাচ্ছে। আর্থিক সংগতি না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা পুরাতন শীতবস্ত্রের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় শিক্ষক সচীন গাঙ্গুলী বলেন, শুক্রবার ও শনিবার (৬ ও ৭ জানুয়ারি) শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ছিল। প্রতিদিন সকাল ৯টায় এই কনকনে ঠাণ্ডায় মুভমেন্ট করা ছিল কষ্টকর। একদিকে কুয়াশা অন্যদিকে শীতল বাতাস। সারাদিন সূর্যের দেখা নেই। দুপুরের পর ঠাণ্ডা আরও জেঁকে ধরে।

জেলার শিবচরের নয়াবাজার এলাকার চা-দোকানি মো. আকাশ বলেন, ঠাণ্ডার কারণে সন্ধ্যার আগেই বাজার খালি হয়ে যাচ্ছে। লোকজন সন্ধ্যার পরে আর থাকে না। দোকান তাড়াতাড়ি বন্ধ করতে হয়। বিক্রি কমে গেছে গত দুইদিন ধরে।

শিবচর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ হেল বাকী জানান, কুয়াশার কারণে সকালে যানবাহন চলাচলে ধীর গতি থাকে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হয়। শীতের কারণে সংযোগ সড়কে ছোট গাড়ির চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

টানা প্রায় ৫ দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবার এবং শনিবারের তাপমাত্রা ছিল খুবই কম। ভোরের দিকে কুয়াশা না থাকলেও গত দুইদিন ধরে সকাল ৮ টা থেকে কুয়াশা নেমে আসতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা বিরাজ করে। এছাড়া  সারাদিনেও সূর্যের দেখা পাওয়া যায়না। দুপুরের পর থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকে। শীতে জনজীবন থমকে যাচ্ছে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ!

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।