ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কোটা বাতিলের দাবিতে বেকার সমাজের ৫ দফা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
কোটা বাতিলের দাবিতে বেকার সমাজের ৫ দফা

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে ৫ দফা দিয়েছে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ নামক একটি সংগঠন।  

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটা (বিশেষ বিধানে উল্লেখিত) বাতিলের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে দফাগুলো ঘোষণা করা হয়।

একই সঙ্গে দফা সংযুক্ত স্মারকলিপিও দেন সংগঠনটির সদস্যরা।

অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজের আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বলেন, বর্তমান সমাজে সব জায়গায় মিস ম্যানেজমেন্ট! কেন হচ্ছে এগুলো? সরকার থেকে একটা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে সেখানে ১৪-১৫টি বানান ভুল থাকে। এগুলো হওয়ার কারণ, কোথাও কোনো যোগ্য লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সব যায়গায় কোটার মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে।

তারেক বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এ মুহূর্তে ৬০ শতাংশ নারী কোটা; পারিবারিক বা পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা প্রয়োগ করা হয়েছে। যেখানে সংবিধানে উল্লেখিত কর্মের সমতার অধিকারের বিষয়টি উপেক্ষা করে। কোটা বাতিলের পরিপত্র অবজ্ঞা করে এমন কোটা প্রয়োগ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর শ্রেণিকে কোটা বঞ্চিত করে অগ্রসর শ্রেণিকে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, একইভাবে রেলওয়েতে ৮৫ শতাংশ কোটার মাধ্যমে নিয়োগ হচ্ছে। এই রেলওয়েতে আপনি যা-ই ঢালুন, সব খেয়ে ফেলবে। কারণ, এই রেলওয়ে হচ্ছে অন্ধকার কূপ। যত দিন পর্যন্ত এই ৮৫ শতাংশ কোটা বাতিল না করা হয়- আপনি যত বিনিয়োগ করেন না কেন কোনো কিছুই কাজে আসবে না।

মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, আদালতের দ্বারস্থ হয়ে বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে রিট করলে আদালত বেকারদের পক্ষে রুল জারি করেন। কিন্তু রুলের বিপরীতে শুনানি করতে গড়িমসি করা হয়। এর মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করে অধিদপ্তর। ফলে অযোগ্য অ-মেধাবীরা কোটায় শিক্ষকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ দখলে নেয়। আর বঞ্চিত হয় সাধারণের চাকরি প্রত্যাশীদের সন্তানেরা। এটি ২০১৮ সালের সফল ছাত্র আন্দোলনের ফলে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া কোটা বাতিলের প্রতিশ্রুতির খেলাপ বলে আমরা মনে করি।

বক্তারা নিজ নিজ বক্তব্য শেষ করার পর ৫ দফা দাবি প্রকাশ করে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ। দাবিগুলো হলো-

১. বৈষম্যমূলক ফলাফল বাতিল; এক ও অভিন্ন কাট মার্কে পুনরায় ফলাফল ঘোষণা,
২. কোটা বাতিলের সরকারি পরিপত্র মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা,
৩. শিক্ষক নিয়োগে বিদ্যমান নিয়োগ মেধার ভিত্তিতে দ্রুত সম্পন্ন করে নতুন কোটামুক্ত পরবর্তী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দ্রুত প্রকাশ,
৪. প্রতিবন্ধীদের কোটা সংরক্ষণ করে পোষ্য কোটাসহ সব কোটার সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা, ও
৫. নিয়োগ পরীক্ষার মেরিট লিস্টের পাশাপাশি প্রাপ্ত নাম্বার প্রকাশ করা।

এর আগে গত বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন আয়োজন করে অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ। সেবারও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল দাবিসহ ৫ দফা দেন সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৩
ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।