ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক সংস্কারের সুফল পাচ্ছে ৩ জেলার মানুষ

মুহাম্মদ মাসুদ আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
সড়ক সংস্কারের সুফল পাচ্ছে ৩ জেলার মানুষ সংস্কারের পর চাঁদপুর-কচুয়া সড়ক -বা্ংলানিউজ

চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে কচুয়া হয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর পর্যন্ত ৩৩ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক সংস্কার হওয়ায় সুফল পাচ্ছে চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বাসিন্দারা। এখন আর ঢাকা থেকে কুমিল্লা বিশ্বরোড ঘুরে নিজ জেলায় যেতে হয় না।

বাইপাস সড়কে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন। প্রতিদিন চাঁদপুরসহ লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার লোকজনের ব্যাক্তিগত গাড়ী, গণপরিবহন ও মালবাহী যানবাহনগুলো বাইপাস দিয়ে ৩৫-৪০ মিনিটের চলে আসছে। কুমিল্লা বিশ্বরোড এলাকার দীর্ঘ সময়ের যানজট থেকে মুক্তি পেয়েছে ৩ জেলার বাসিন্দারা।

সরেজমিনে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ও চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী গৌরীপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে আসা ছোট বড় যানবাহনগুলো ঢুকছে। প্রতিমিনিটে কমপক্ষে ৮-১০টি গাড়ি আসা-যাওয়া করছে। এর মধ্যে ঢাকা-কচুয়ার মধ্যে চলাচলকারী সুরমা পরিবহন, বিআরটিসি বাস, ঢাকা-লক্ষ্মীপুর জেলার আল-আরাফ পরিবহন রয়েছে। বিশেষ করে অটোবাইক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংখ্যাই বেশি।

সাচার এলাকার অটোরিকশা চালক সালহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আগে সড়কটির গৌরিপুর থেকে কচুয়া পর্যন্ত বাঁক ছিল বেশি। গত কয়েক বছরে অনেকগুলো বাঁক সোজা করা হয়েছে। এ কারণে এখন দুর্ঘটনাও কমেছে।

একই এলাকার চালক জাহাঙ্গীর শেখ ও মানিক মিয়া বলেন, গৌরীপুর থেকে সাচার পর্যন্ত এখন রাস্তা খুবই ভাল। আমরা এই সড়কে বেশি চলাচল করি। সাচার বাজারের মধ্যে সড়কটি সংস্কার হওয়ায় এখন আর বৃষ্টি এলে পানি জমে থাকে না, যানজটও লাগে না।

সুরমা পরিবহনের একাধিক শ্রমিক জানান, সড়কটি সংস্কার হয়েছে। এজন্য চলাচলে সময় কম লাগে। তবে অন্য জেলার বড় গাড়ি আসার কারণে মাঝে মাঝে সড়কে অবস্থান করে অন্যদের যাওয়ার জন্য সুযোগ দিতে হয়। তবে এই সড়কটির প্রসস্থতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) চাঁদপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মারুফ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে এই সড়কটির সংস্কার কাজ চলছে। সড়কের বারৈয়ারা হতে সাজির পাড় পর্যন্ত কাজ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ হবে। ইতোমধ্যে সড়কের বেশ কয়েকটি বাঁক সোজা করা হয়েছে। বর্তমানে সড়কটির প্রস্থ আছে ১৮ ফুট। এটি সংস্কার কাজে ব্যয় হচ্ছে ১৩ কোটি ২৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

চাঁদপুর সওজের বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামসুজ্জোহা বাংলানিউজকে বলেন, ৩৩ কিলোমিটারের এই সড়কটির অবস্থা আগে খুবই খারাপ ছিল। সাচার বাজার এলাকায় যানজট লেগে থাকত। আমরা এখন সংস্কার কাজ করছি। এটি উপজেলা সড়ক। বর্তমানে কোনো যানজট নেই, তবে সড়কের প্রস্থ ১৮ফুট। এই সড়ক দিয়ে যেহেতু আঞ্চলিক যানবাহন চলে, সে কারণে আমরা এটিকে আঞ্চলিক সড়ক হিসেবে ২৪ ফুটে উন্নতি করণের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। সড়কটি প্রসস্থতা বাড়লে দুর্ঘটনা কম হবে এবং তিন জেলার লোকজন আরও সহজে যাতায়াত করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।