ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যুবসমাজকে আসক্তি থেকে রক্ষা পেতে কি করতে হবে, জানালেন তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
যুবসমাজকে আসক্তি থেকে রক্ষা পেতে কি করতে হবে, জানালেন তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা: আগে বিভিন্ন এলাকার পাড়ায় পাড়ায় সাংস্কৃতিক চর্চা হতো। সেগুলো এখন আর নেই।

সেই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এর মাধ্যমে যুবসমাজকে আসক্তি থেকে রক্ষা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, আগে যে পাড়ায়-পাড়ায় সাংস্কৃতিক চর্চা হতো, সেটি আর নেই। আমাদের যুব সমাজকে মাদকসহ অন্যান্য আসক্তি থেকে রক্ষা করতে পাড়ায়-পাড়ায় সাংস্কৃতিক সংগঠন করা দরকার। আমাদের মৌলিক সাংস্কৃতিক চর্চা অনেক বেশি বাড়ানো প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমি একটু পেছন থেকে শুরু করি, সাম্প্রদায়িকতার ওপর ভিত্তি করে দেশ ভাগ হয়েছে। এরপর প্রথমেই শুরু হলো আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচেষ্টা। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষাও শুধু উর্দুই হবে বলে জানালো হলো। । ১৪ আগস্ট ছিল পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস। সে সময় তৎকালীন তরুণ ছাত্র নেতা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। ১৪ আগস্ট স্বাধীনতা দিবসে আনন্দ-উল্লাসের দিন নয়। বরং উৎপীড়নের নাগপাশ থেকে মুক্তি পাওয়ার সফলতম দিন হিসেবে উৎযাপন করতে হবে। তিনি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

অর্থাৎ পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথম বছরেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই রাষ্ট্রের সৃষ্টিতে আমাদের মুক্তি নিহিত নাই। আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতির মুক্তি নেই। এরপর তিনি ৬ দফা দিলেন, এরপর গণঅভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭ই মার্চের ডাক। তিনি জনগণকে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানালেন। এবং এর মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার চেতনাকে বুকে ধারণ করে আমাদের রাষ্ট্র স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তারপর আমাদের দেশে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলন তৈরি হয়েছিল। আজকে সংস্কৃতি এগিয়েছে নাকি পিছিয়েছে সেটি আসলেই একটি বড় প্রশ্ন। আজকে বিয়ের অনুষ্ঠানে, গায়ে হলুদে হিন্দি গান বাজে। এটি তো আমাদের সংস্কৃতি নয়। আমি আমার ব্যক্তিজীবনে ছাত্র রাজনীতি করেছি, কখনো দেখিনি কোনো অনুষ্ঠানে ইংরেজি গান বাজে। কিন্তু, এখন বাজে। এটি মূলত আকাশ সংস্কৃতির কারণে হয়েছে। এর থেকে সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব পাবার পর যেসব হল বন্ধ হয়ে গেছে, রুগ্ন হয়েছে সেগুলো চালু করার জন্য ১ হাজার কোটি টাকার সহজ সুদে ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। যেখানে প্রচলিত সুদ হচ্ছে ৯ শতাংশ। সেখানে ঢাকার বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে এবং ঢাকার ভেতরে ৫ শতাংশ হারে ঋণ পাবে। এর মাধ্যমে সিনেমা হল পুনর্নির্মাণ, সংস্কার কাজ গতি পেয়েছে। সিনেমা হল কমেছে এ কথাটা সঠিক নয়। বাংলাদেশে ১২০০ সিনেমা হল ছিল। পরে ৩০০ হলো এরপর একশয় নেমেছে। কিন্তু, যখন ভালো কোনো সিনেমা আসে ৩০০ হলে সেটি চলে। করোনা না হলে এত দিনে আরও অনেক বেশি হল হতো। সিনেমার যে দুর্দিন ছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। এ বছর ৭০-৮০টি সিনেমা মুক্তি পাবে। যেখানে ২০টায় নেমে গেছিল। আগামী বছর অন্তত ১০০ সিনেমা মুক্তি পাবে। এ লক্ষ্যে আমরা সবাই এক সাথে কাজ করব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান, এটিএন বাংলার উপদেষ্টা (অনুষ্ঠান ও সম্প্রচার) তাশিক আহমেদ। বিসিআরএ’র সভাপতি অভি চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বিসিআরএ’র সাধারণ সম্পাদক দুলাল খান। অনুষ্ঠানে শো-বিজ অঙ্গনের খ্যাতনামা তারকারা উপস্থিত ছিলেন। এবারের আয়োজনে এবি ডিজিটেক লিমিটেডের সৌজন্যে মিডিয়া পার্টনার ছিল এটিএন বাংলা।

বাংলাদেশ সময়: ২২২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
এমকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।