ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ফ্যাশন ডিজাইনার ও শিক্ষিকা নাহারীনের গল্প 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
ফ্যাশন ডিজাইনার ও শিক্ষিকা নাহারীনের গল্প 

নাহারীন চৌধূরী। একজন আত্মপ্রত্যয়ী নারীর নাম।

তিনি বহুমাত্রিক পেশার ক্যারিয়ার নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন সমানতালে। করপোরেট পেশায় যুক্ত থাকার সঙ্গে তিনি শিক্ষকতাও করছেন।  

শান্ত মরিয়ম ইউনিভার্সিটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন থেকে স্বর্ণপদক পেয়ে মাস্টার্স শেষ করেছেন নাহারীন। তারপর ফ্যাশন ডিজাইন দিয়ে ক্যারিয়ারের যাত্রা শুরু। এখন কাজ করছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লিডিং ফ্যাশন ব্র্যান্ড এনার্জিপ্যাকের প্রতিষ্ঠান ওকোড। তিনি একসঙ্গে দুটি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। হেড অব অপারেশন ও ইনোভেশনের দায়িত্বে আছেন নাহরীন চৌধূরী।  

একাধিক দায়িত্ব পালন সম্পর্কে তিনি বলেন, আসলে সময়টাকে ধরে রাখতে জানতে হবে। কোনো কিছুই কঠিন না। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সময়ের ব্যবহারটা আপনি কীভাবে করছেন, সেটা বুঝতে হবে। আমি সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠি। ৯টায় অফিসের উদ্দেশে বের হই। রাতে যখন বাসায় আসি, তখন আমি অফিসের কোনো কল রিসিভ করি না। আমি চেষ্টা করি অফিসের কাজ অফিসেই করে আসতে। আমি যেহেতু শিক্ষকতা করছি, তাই আমার শিক্ষার্থীদেরও সময় দিতে হচ্ছে। এই পেশাগুলোর সমন্বয়ের একটি বড় শক্তি হচ্ছে ডিসিপ্লিন। সবকিছুই সম্ভব। তবে সময়কে ম্যানেজ করার দক্ষতা থাকতে হবে।  

করপোরেট ফ্যাশন হাউজে চাকরি করার পাশাপাশি শিক্ষকতা পেশা বেছে নেওয়া প্রসঙ্গে নাহরীন চৌধূরী বলেন, আমি শান্ত মরিয়মে পড়াশোনা করেছি। পড়শোনা শেষ করার পরেও ক্যাম্পাসের সঙ্গে যোগাযোগ হতো। বিভিন্ন সেমিনারে যেতাম। আমাকে যখন সেখান থেকে অফার করা হলো আমি আর না করিনি। আমিও চেয়েছিলাম, আমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দিতে।  

তিনি আরও বলেন, আমার যদি সামর্থ্য থাকে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের পেশার চ্যালেঞ্জ নিতেই পারি। তবে আমি যখন ওকোডে থাকি, তখন শুধু ওকোডের কাজ-ই সময় দিই। আবার আমি যখন শিক্ষকতা করি, তখন আমার সেই ধ্যানটিই মাথায় থাকে।  

তিনি আরও জানালেন, অফিসের পর আমি ছাত্রদের সঙ্গে অনলাইনে কিছুটা সময় কাটাই। যেহেতু আমি দশম এবং ১২তম সেমিস্টারে ক্লাস নেই, সেহেতু বিভিন্ন ধরনের বিষয় থাকে তাদের জানার। আমি মনে করি প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার অধিকার তাদের আছে। সপ্তাহে একটা বা দুটা ক্লাসে তো আর হয় না। একটা প্রশ্নের এক সপ্তাহ অপেক্ষা করাও ঠিক না। আমি জানি ছাত্ররা অনেক বেশি জানে এবং তাদের ভবিষ্যতও অনেক উজ্জ্বল। তাদের এখন দিক নির্দেশনাটা খুব প্রয়োজন। চেষ্টা করি ছাত্রদেরকে সর্বোচ্চটা দেওয়ার।

একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন পেশায় প্রতিবন্ধকতা কী বলে মনে করেন, এমন প্রশ্নের জবাবে নাহারীন জানালেন, কিছু তো প্রতিবন্ধকতা আছেই। তারপরও আমি পারি, আমি পারবো এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জরুরি। সময়টিকে একটি ছকে ফেলতে পারলে সব প্রতিবন্ধকতাকেই জয় করা যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।