তলপেট ও কোমরে যন্ত্রণা, হেভি-ফ্লো এসব ছাড়াও অনেক সময়েই মেন্সট্রুয়াল হাইজিনের দিকে নজর না থাকার কারণে অন্যান্য অনেক সমস্যা দেখা যায়। পিরিয়ডের সময়ে অবশ্যই হাইজিনের প্রতি নজর দিতে হবে প্রতিটি নারীকে।
যাদের পক্ষে শপিংমল ও ট্রেনে গিয়ে প্যাড চেঞ্জ করা সম্ভব, তারা সেটাই করুন। আপনি যদি কর্মরতা হন, তাহলে নিজের কাজের জায়গার বাথরুম ব্যবহার করুন। এই সময় পাবলিক টয়লেট বা সুলভ শৌচালয় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনের খাতিরে একান্তই ব্যবহার করতে হলে সঙ্গে অবশ্যই রাখুন পি-সেফ। পিরিয়ডসের কয়েকটা দিন নিজের বাড়ির বাইরে যেকোনও বাথরুমে গেলেই পি-সেফ ব্যবহার করা উচিত।
পেটে ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো পেনকিলার খাবেন না। এতে সাময়িকভাবে ব্যথা কমলেও পরবর্তীকালে অন্য সমস্যায় পড়তে পারেন। এক্ষেত্রে পেটে হালকা গরম সেঁক দিতে পারেন। অনেকে বলেন বরফ সেঁক দিলেও যন্ত্রণা কমে। অনেক নারীর ক্ষেত্রেই পিরিয়ডসের সময় ভীষণ মুড সুইংস হয়। এ ক্ষেত্রে তারা সঙ্গে রাখুন চকলেট। কারণ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সমীক্ষায় দেখা গেছে, মুড সুইংস কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে চকলেট।
ভ্যাজাইনাল এড়িয়া অর্থাৎ ভ্যাজাইনা এবং সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার করুন। পিরিয়ডের প্যাড বদল করার আগে সম্ভব হলে প্রতিবারই পানি দিয়ে ভালো করে ভ্যাজাইনাল এলাকা ধুয়ে নিন। সম্ভব হলে ওয়াক্সিং করে রাখতে পারেন আগে থেকেই। এর ফলে ইচিং বা র্যাশ এসব সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।
খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম না করাই ভালো। যা পছন্দ তাই খান। তবে, সঠিক সময়ে। কিন্তু খুব মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো। তার ফলে অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা এড়ানো যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২২
এএটি
