ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

এদেশ হোক শিশু স্বর্গ

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এদেশ হোক শিশু স্বর্গ আনিয়া ও মৌলিক

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনেই বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৭ মার্চ পালিত হয় ‘জাতীয় শিশু দিবস’।  

শিশুরাই আগামীর ভবিষ্যৎ।

একটি অনুকূল পরিবেশে যোগ্য নাগরিক হিসেবে শিশুদের গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্ব। শিশুর জন্য চাই কবি সুকান্তের ‘শিশুর বাসযোগ্য পৃথিবী’ বা শিল্পী এম সুলতানের কল্পনার শিশু স্বর্গ।

শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে পোলিও, ধনুষ্টংকার, হাম, ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি এবং যক্ষ্মা শৈশবের ৬টি মারাত্মক রোগগুলোর টিকা সময় মতো দিতে হবে।  

আজকের শিশুরাই আগামীর সক্ষম নাগরিক। তাই শিশু-কিশোরদের চারিত্রিক দৃঢ়তার পাশাপাশি স্বাস্থ্য-পুষ্টির দিকে নজর দিয়ে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।  

এই ডিজিটাল সময়ে এসে সাইবার বুলিং এড়াতে ইন্টারনেটে কোন সাইটগুলোতে শিশু বেশি সময় ব্যয় করছে তার খোঁজও রাখতে হবে বাবা-মাকে।  

সন্তানের সঙ্গে খুব ভালো বন্ধুত্ব তৈরি করতে হবে। তাকে সময় দিন, অবশ্যই কোয়ালিটি টাইম। এই করোনাকালে বাইরে খেলতে যেতে পারছে না, স্কুলে যাচ্ছে না এজন্য মাঝে মাঝে নিজেরা শিশুকে বাইরে নিয়ে যেতে পারেন। তবে শিশুকে বাইরে নেওয়ার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।  

তার সব প্রয়োজন সময়মতো পূরণ করতে হবে। তবে তার কোনো অযোক্তিক চাহিদা থাকলে কষ্ট করে তা পূরণ করা ঠিক নয়।  

শিশু সন্তানের চিন্তারও গুরুত্ব দিতে হবে। তবেই সে আপনাকে আরও শ্রদ্ধা করবে এবং আপনাদের মধ্যে সম্পর্ক হবে আরও মধুর।
সন্তানকে কখনো মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করা যাবে না।  

মনে রাখতে হবে, মানসিকভাবে নির্যাতিত শিশুরা পরবর্তীতে বিষন্নতা, হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠে। সুস্থ সুন্দর সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে প্রতিটি শিশু নিরাপদে বেড়ে উঠবে, এই দেশ হবে শিশুদের স্বর্গ, এটাই শিশু দিবসের কামনা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২১
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।