ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

করোনা থেকে বাঁচতে যেতে পারেন পাহাড়ে 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২০
করোনা থেকে বাঁচতে যেতে পারেন পাহাড়ে  পাহাড়ে 

মহামারি করোনার ভয়ে পুরো বিশ্ব যেখানে মাসের পর মাস লকডাউন করে রাখা হয়েছে। ঘর থেকে বের হতে প্রথমেই মনে আসছে করোনার ভীতি। সেই করোনারও আবার কোনো ভীতি থাকতে পারে(!) তাও আবার উচ্চতায়? বিজ্ঞানীদের দাবি কিন্তু এমনটাই। 

গবেষকরা বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষন করে দেখেছেন, সমতলের তুলনায় পাহাড়ি এলাকায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটাই কম। সমুদ্রতট থেকে তিন হাজার মিটার ওপরে যারা বাস করেন এখানে বিশেষ করে তাদের কথাই বলা হয়েছে।

 

সম্প্রতি নেসপ্রিয়েটরি ফিলোসফি নিউরোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষার ফলাফলে উল্লেখ করা হয়েছে, পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় কম।  

 
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়া, বলিভিয়া, কানাডা, সুইৎজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা বলিভিয়া, ইকুয়েডর, তিব্বত ও চিনের করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন। তিব্বতের মতো পার্বত্য এলাকায় করোনা সংক্রমণের মাত্রা চিনের সমতলের থেকে অনেক কম।  

এছাড়া বলিভিয়ার পার্বত্য এলাকায় তিন গুণ কম, ইকুয়েডরের পার্বত্য এলাকায় এ সংখ্যা চার গুণ কম। যেমন, পেরুর কুসকো উপত্যকায় চার লক্ষ ২০ হাজার মানুষ বাস করে। এই অঞ্চলে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মাত্র তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তিন জনের মধ্যে একজন মেক্সিকো, একজন চিন ও একজন ব্রিটেনের পর্যটক। এরপর গোটা পেরুতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ৪০ হাজার ছাড়ালেও, কুসকো অঞ্চলে আক্রান্ত মাত্র ৯১৬ জন। পুরো দেশের তুলনায় যা প্রায় ৮০ শতাংশ কম।

পাহাড়ি এলাকায় করোনা সংক্রমণের এই কম হার দেখে, বিজ্ঞানীরা মজা করে বলছেন, উচ্চতা ভীতি রয়েছে মহামারি করোনা ভাইরাসের। তাই পাহাড়ে তেমন থাবা বসাতে পারছে না!

 বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২০
এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।