ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ভালোবাসা শতবর্ষ আগে 

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ভালোবাসা শতবর্ষ আগে  ভালোবাসা দিবস

ভ্যালেন্টাইন ডে নিয়ে (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে আজ সারাবিশ্বে যে উম্মাদনা চলছে, জানেন কি তা উদযাপন শুরু হয় রোমান সাম্রাজ্যের সময় থেকে। শত শত বছর ধরেই ভালোবাসা দিবস পালন করা হচ্ছে। তবে ধরণটা ছিল ভিন্ন। যেমন: 

প্রিয়জনের জন্য উপহার দেয়া-নেয়ায়, আমেরিকায় ১৮০০ সালের দিকেই বাণিজ্যিক ভাবে বেশ সারা ফেলেছিল ভ্যালেন্টাইন ডে।  

আজ থেকে শতবর্ষ আগে ব্রিটেনে ছোট শিশুরা দল বেঁধে বাড়ি বাড়ি গান গেয়ে দিনটি উদযাপন করত।

 

ওয়েলসে কাঠের তৈরি চামচের ওপর হৃৎপিণ্ড, তালা, শেকলের নকশা খোদাই করে এ দিনে উপহার দেয়া হতো। এর মানে ছিল ‘ইউ আনলক মাই হার্ট’।


ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখে তরুণ-তরুণীরা  তাদের জামার হাতায় কাঙ্ক্ষিত ভালোবাসার মানুষটির নাম লিখে সপ্তাহজুড়ে ঘুরে বেড়াত। তারা ধরেই নিতো, এর ফলে সহজেই কাছে পাবে তার ভালোবাসার মানুষটিকে।  

কোনো কোনো দেশে দিনটিতে অবিবাহিত ছেলে নতুন পোশাক উপহার হিসেবে পাঠাত পছন্দের মেয়ের বাড়িতে। মেয়েটি ওই পোশাক গ্রহণ করলে ধরে নেয়া হতো, মেয়েটি তাকে বিয়ে করতে রাজি আছে।

ছিল আরও কিছু বিশ্বাস
১৪ ফেব্রুয়ারিতে যদি কোনো মেয়ে তার মাথার ওপর একটি ফিতা উড়ে যেতে দেখে তাহলে তার বিয়ে হবে কোনো নাবিকের সাথে
 যদি সে একটি চড়ুই পাখি দেখে তবে তার বিয়ে হবে একজন দরিদ্র লোকের সাথে, কিন্তু সে হবে খুবই সুখী।  
আর যদি সে সোনালি রঙের মাছ দেখে তবে তার বিয়ে হবে একজন প্রভাবশালী ধনাঢ্য লোকের সাথে।  

এসব রীতি এখন শুধুই ইতিহাস। ভালোবাসার প্রকাশের ধরণও পাল্টেছে কালের পরিক্রমায়। কাউকে ভালো লাগলে এখন সরাসরিই বলে দেয়া যায়, আর প্রযুক্তি এই হৃদয়ের কথা পৌঁছে দিতে করে দিচ্ছে ডাক পিয়নের কাজ।  

ভালোবাসার দিনটি হয়েছে আরও রঙিন আর উৎসবমুখর।   
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।