ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বিমর্ষতা কাটায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
বিমর্ষতা কাটায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

মানুষ যখন তার খারাপ অবস্থার কথা যেমন- কাজের চাপ, অপ্রীতিকর ঘটনা, অসুস্থতার খবর কাউকে সামনা সামনি বলতে পারে না তখন ফেসবুক কিংবা টুইটারে ছোট একটি পোস্ট তার এই খারাপ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে এবং ভালো থাকতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

আমেরিকার দক্ষিণ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইভা বুশ্যেল বলেন, মানুষ যখন খারাপ অবস্থায় থাকে তখন তার অন্য কারো সঙ্গ পাওয়ার প্রয়োজন হয়। কারণ তাতে খারাপ লাগা অনুভূতি কমে গিয়ে ভালো থাকার সুযোগ তৈরি হয়।

তিনি আরো বলেন, মানুষ ভাবেন যে মুখোমুখি বা ফোনে কথা বললে যারা শুনছেন তারা বিরক্ত হতে পারেন। এক্ষেত্রে ফেসবুকে স্ট্যাটাস কিংবা টুইটারে টুইট করে অনেক পাঠকের কাছে মনের কথা নিঃসঙ্কোচে বলে ফেলা যায়।

অনলাইনে প্রকাশিত জার্নাল অব কনজ্যুমার সাইকোলজিতে গবেষণার ফলাফলে বলা হয়েছে, যারা নিজেদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন অনুভব করে ও অন্যজনের সঙ্গে পারস্পারিক যোগাযোগে উদ্বিগ্ন থাকে, বিশেষভাবে তাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো উপকারী।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে পাঠকের মধ্যে ক্ষুদে বার্তা পৌঁছে দেওয়াকে মাইক্রোব্লগিং বলা হয়। মানুষ সামাজিকভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হলে মাইক্রোব্লগের সম্ভাবনা বেশি থাকে কিনা ব্যুশেল অংশগ্রহণকারীদের দু’টি দলে ভাগ করে পরীক্ষা করে দেখেন। একটি দলের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট ছিল, অন্যটির ছিল না।

তিনি বলেন, অনেকগুলো গবেষণায় দেখা গেছে যে- সরাসরি যোগাযোগের চেয়ে অনলাইনে অনুভূতির প্রকাশ কম কার্‍যকর হলেও সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন মনে করা মানুষগুলোর জন্য এইসব সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

তবে বুশ্যেল এও স্বীকার করেছেন যে, যাদের যোগাযোগের মাধ্যম শুধুই সোশ্যাল মিডিয়া তাদের জন্য এটি বিপদজনক।

বাংলাদেশ সময় ১২৪১ ঘণ্টা, জানয়ারি ৬, ২০১৭
এমএসএ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।