ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাবারের আগে খুব বেশি বাছ-বিচার করলে আপনি ‘ইটিং ডিজঅর্ডারে’ ভুগছেন (প্রতীকী ছবি)

আপনি কি খাবারের আগে খুব বাছ-বিচার করেন? খাবার খাওয়ার আগে মোটা কিংবা চিকন হবার চিন্তা আপনার মাথায় ঘুরপাক করতে থাকে? তাহলে আপনি অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস (Eating Disorder) এ ভুগছেন।

যখন কোনো ব্যক্তি দৈনন্দিন অন্যান্য কাজের তুলনায় নিজের খাদ্যাভ্যাস বা ওজন নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন থাকে ও এর জন্য অত্যাধিক সময় ব্যয় করে তখন এ অবস্থাকে অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস বলা হয়।  

একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস শরীরের ওজন বাড়ায় ও কোমর মোটা করে এমনকি পরবর্তী জীবনে মানসিকভাবে ভালো থাকার ও নিজেকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা কমে যায়।

গবেষণায় জানা গেছে, অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের ফলে সদ্যপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী ও পুরুষ উভয়েরই দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারিরীক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

কিছু মানুষ আছেন যারা সুগার ও ক্যালোরি হিসেব করতে গিয়ে খাদ্য তালিকা থেকে ইচ্ছেমত খাবার বাদ দিয়ে দেন। এবং যে কোনো মূল্যেই ওজন কমাতে ডায়েট করে থাকেন।  

ফিনল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হেলসিনকির গবেষক উল্লা কারকাইনেন বলেন, অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস সদ্যপ্রাপ্ত বয়স্কদের সাময়িক ও দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।  

গবেষণাটিতে ৪৯০০ জন পুরুষ ও নারীকে তাদের খাদ্যাভ্যাস, ওজন ও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ফলাফলে দেখা যায় দশ বছর পরে তাদের মানসিকভাবে ভালো থাকার ও নিজেকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

দেখা গেছে পুরুষের থেকে নারীদের অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাসের সমস্যা বেশি থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমএসএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।