ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

খাদির কদর

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
 খাদির কদর .


খাদি বলতেই আমরা বয়স্ক মানুষের পাঞ্জাবি ভাবতাম একটা সময়, কিন্তু দিন পাল্টেছে। খাদি তেও রং লেগেছে, হয়েছে আরও আধুনিক, আরামদায়ক। শাড়ি থেকে শুরু করে কূর্তি, শাল, তরুণদের জন্য ফ্যাশনেবল শার্ট বা ফতুয়া সবই হচ্ছে খাদি কাপড়ে।

খাদি আমাদের অতি প্রাচীন বস্ত্র। তুলা থেকে সুতা হওয়ার পর বাড়তি অংশ দিয়ে চরকায় সুতা কেটে তাঁতে বুনন করা কাপড়কে খাদি বলা হয়।

 

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ সেই খাদি বা খদ্দরকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে এগিয়ে এসেছেন এই সময়ের ফ্যাশ.ন ডিজাইনাররা। শুধু তাই নয়, চরকায় সুতা কাটা, অফহোয়াইট মোটা কাপড় আর অমসৃণ টেক্সচার- খাদি সম্পর্কে প্রচলিত এ ধারণা বদলেও দিয়েছেন তারা। রঙে, বাহারে আর উপস্থাপনায় খাদি এখন দারুণ উজ্জ্বল।

সেইসব বর্ণিল খাদি বস্ত্রের হাজারো পণ্য নিয়ে তৃতীয় বারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘খাদি উৎসব’২০১৭’। গত বছরের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী ৩ ও ৪ নভেম্বর খাদি উৎসব অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরা, রাজদর্শন (হল-৩)-এ।  

উৎসবের আয়োজক ফ্যাশন ডিজাইন কাউন্সিল অব বাংলাদেশের সভাপতি, জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস মায়াসিরের কর্ণধার মাহিন খান বাংলানিউজকে বলেন, সেই ১৯৮৬ সাল থেকে খাদি নিয়ে কাজ করছি। খাদি হচ্ছে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের অংশ। চরকা কাটা সুতা এবং হ্যান্ডলুমে তৈরি হয় খাদি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে খাদির ব্যবহার বেড়েছে। আমাদের এখানে হয়েছে ঠিক উল্টোটা। অথচ খাদি কাপড় শতভাগ পরিবেশবান্ধব।

বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহ্যকে ঘিরেই আমাদের কাজ। আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে যেই খাদি কাপড় তার মূল্য ও মর্যাদা শুধু আমরাই বুঝবো। সেজন্যই এবার তৃতীয়বারের মতো খাদি উৎসবের আয়োজন করেছি আমরা।

তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কাপড় কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়েই ভাবনা আমাদের। চরকায় কীভাবে আরও মিহি সুতা কাটা যায় এবং সুতার মান কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিস্তর গবেষণা হয়েছে-এখনো হচ্ছে।  

এ বছর ১৯ জন দেশি ও ৬ জন বিদেশি (ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড) ডিজাইনার খাদি উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। খাদি উৎসব উপলক্ষে ৩০ অক্টোবর গুলশান ক্লাবে বিকেলে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে।  

১০ ও ১১  নভেম্বর গুলশান গারডেনিয়া কনভেনশন সেন্টারে খাদি উৎসবে প্রর্দশিত পোশাকগুলো প্রর্দশন ও বিক্রয় করা হবে।  

.
খাদি উৎসবে এবারও খাদির সেসব ভিন্ন ভিন্ন রূপ, বহুমাত্রিক ব্যবহার আর নানা ভাবনা তুলে ধরবেন ডিজাইনাররা।  

এবারের থিম হিসেবে লোকজ সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও এতিহ্যবাহী স্থাপনার নকশাকে বেছে নেয়া হয়েছে বলেও জানান মাহিন খান।  


দেশীয় কাপড়ের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলানিউজ।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।