ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

অনলাইনে কতদূর?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৭
অনলাইনে কতদূর? .

আমাদের জীবনে ফেসবুক বেশ প্রভাব ফেলেছে। মাত্র কয়েক বছরে আমরা ফেসবুককে নিজেদের বন্ধু করে নিয়েছি। সেই সঙ্গে বেড়েছে বন্ধুর সংখ্যাও। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখন আমাদের খুব কাছের বন্ধু সংখ্যা ছিল মাত্র কয়েক জন।
আর এখন প্রতিদিনই বন্ধু তালিকায় যোগ হচ্ছে কত কত নতুন বন্ধু।

সবাই কি আসলে বন্ধু? অনেকেই আবার এই বন্ধু তালিকা থেকে বিশেষ কারও সঙ্গে তৈরি করছেন ঘনিষ্টতা। কেউ কেউ হয়তো ঘরও বাধঁছেন সেই সম্পর্ক থেকেই।

আবার অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন।  

আমরা মিডিয়াতে কোনো খবর এলেই শুধু জানতে পারি, এমন একটি প্রতারণার ঘটনা, তবে অজানা ঘটনার সংখ্যা কিন্তু আরও অনেক বেশি।  

প্রতিটি বন্ধুকেই যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে, আমরা আজও সেই ‘ড্যাম কেয়ার সোসিইটি’ তে বাস করি না। আমরা অনেক বেশি প্রভাবিত হই, দুঃখিত হই প্রিয়জনের কষ্টে।

আমরা তো একা না, একটি ছেলে বা মেয়েকে ঘিরে যখন আপত্তিকর খবরগুলো মিডিয়ার হেডলাইন হয়, তখন শুধু সেই দুজনই নয়, তার পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, মর্মাহত হয়,  তাদের সহ্য করতে হয় হাজারো মানসিক যাতনা।  

বন্ধুত্বের কোনো বয়স অথবা সীমানা নেই। আর ইন্টারনেটের যুগে বন্ধুত্বের দ্বার খুলে গেছে বিশ্বব্যাপী। ছেলে-বুড়ো, ছাত্র থেকে অফিসের কর্তা সবারই ফেসবুক আইডি রয়েছে। আমরা ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করছি চেনা-অচেনা বন্ধুর সঙ্গে।  
আমরা পুরোনো বন্ধু ফেসবুকের মাধ্যমে খুঁজে পাই, আর অনেকের সঙ্গে নতুন বন্ধুত্বও গড়ে ওঠে।

পুরোনো বা নতুন কোনো বন্ধুত্বই যেন, বন্ধুত্বের গণ্ডি ছাড়িয়ে না যায়, এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বন্ধুত্বের দুয়ার খোলা। কিন্তু সেই খোলা দুয়ারের মেলামেশা করার সময় যে বিষয়গুলো অবশ্য‌ই লক্ষ্য রাখবেন: 

কারও সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব হলেই তার সঙ্গে ব্যক্তিগত কোনো ছবি শেয়ার করা যাবে না
যেকোনো প্রলোভন( বিয়ে বা প্রেমের) কোনো ভাবেই বিয়ের আগে শারিরিক সম্পর্কে জড়ানো ঠিক নয়।  

আর যদি নিজের ইচ্ছায় কোনো অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যান তবে সে দায় শুধুমাত্র কোনো একজনের নয়, অন্যকে হেয় করতে অথবা নিজের কোনো উদ্দেশ্য সফল করতে সেই সম্পর্ককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা ঠিক নয়।  

কারণ, মামলার ভয় দেখিয়ে হয়তো কোনো সম্পর্ক তৈরি করা যায়, কিন্তু তাতে কোনো ভালোবাসা, বিশ্বাস বা সম্মান থাকে না।  

আর যারা বিবাহিত তারা ফেসবুকে সঙ্গীসহ ছবি দিন, অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন। যে সময়টা ঘরে থাকবেন, সঙ্গীকে সময় দিন, সারাক্ষণ ফেসবুকে বসে থাকবেন না। আমাদের দাম্পত্য জীবনে সমস্যা তৈরি হয় এমন কাউকে ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় না রাখাই ভালো। প্রিয় সঙ্গীকে পাশে রেখে সবার সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব রক্ষা করুন।

ফেসবুক যেন আমাদের কারো জীবনেই প্রতারণার ফাঁদ না হয়, এটা সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে।
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।