ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাদকের কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসান এসআই!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
মাদকের কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসান এসআই!

ঢাকা: অন্যায়ভাবে আটকে রেখে মারধর, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুবেল মল্লিকসহ দুইজনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে একটি মামলা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) মুন্সিগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেন এই মামলা করেন।

মামলার অপর আসামি হলেন- ভুয়া ডিবি খসরু রোমান।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ২৯ মার্চ আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেছেন।

বুধবার (১৯ জানুয়ারি) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার আর্জি থেকে জানা যায়, গত বছর ১৮ জানুয়ারি বাদী সাকিব হোসেন মালিবাগ সিআইডি পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিকেলে ভাটারা নূরের চালায় বোনের বাসায় যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসির অপর পাশে দাঁড়ান। তখন পুলিশের একটি পিকআপভ্যান থেকে ২ জন লোক নামেন। খসরু রোমান নিজেকে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) এবং রুবেল মল্লিক এসআই পরিচয় দেন। এ সময় তারা সাকিবকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চান।

সাকিব ডিবি কার্যালয়ে যেতে অপরাগতা প্রকাশ করলে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে চোখ বেঁধে তাকে জোর করে গাড়িতে তোলেন। তারা সাকিবকে নিয়ে গাড়িতে বিভিন্ন ঘুরেন। এরপর ভুক্তভোগীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন খসরু। এসআই রুবেল খসরুকে বলেন সরকারি অফিসার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলে আমরা ফেঁসে যাব। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দেই। আরেকজন বলে মাদকের কর্মকর্তা তাকে মাদক মামলা দিয়ে লাভ হবে না। তখন আরেকজন বলেন ওকে বাসায় নিয়ে যাই। বাসায় স্বর্ণের বার আছে তা দিয়ে ডাকাতি মামলায় আটক দেখিয়ে চালান দেই। এ সময় এসআই রুবেল বলেন ১১ জানুয়ারির একটি অজ্ঞাত মামলা আছে ওকে জড়িয়ে দেই। এরপর আসামিরা বাসার ঠিকানা জেনে সাকিবকে তার বোনের বাসায় নিয়ে আসে। তখন আসামিরা সাকিবের বোনের বাসায় ঢুকে। তারপর খসরু সাকিবের ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণের বার রেখে আসেন। পরবর্তীতে আসামিরা ভুক্তভোগীকে মিথ্যা অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে আদালতে পাঠান। এ সময় তাকে মারধর করে জখম করেন এবং ভয়-ভীতি প্রদান করেন। ১৯ জানুয়ারি আসামিরা বাদীর বোনের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নগদ তিন লাখ টাকা, আই ফোন ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। এর মাধ্যমে আসামিরা দণ্ডবিধির ১৭০/২২০/৩২৩/৩৮০/৩৮৫/৫০৬/১০৯ ধারায় অপরাধ করেছেন বিধায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করিয়া যথাযথ ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ আদেশ প্রদানে আদালতের একান্ত মর্জি হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।