ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিপিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
ডিপিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে তলব

ঢাকা: দেশীয় সংস্কৃতিবিরোধী এবং পাঠ্যবইয়ে অশালীনতার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরার ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের অধ্যক্ষকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

কয়েকজন অভিভাবকের করা আদালত অবমাননার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ আদেশ দেন।

আগামী ১৩ জানুয়ারি (সোমবার) ওই স্কুলের অধ্যক্ষকে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক।

আবেদনে বলা হয়, ওই স্কুলে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত জন গণ মন, জাতীয় ফল আম, জাতীয় পশু বাঘ, জাতীয় ফুল পদ্ম, জাতীয় পাখি ময়ুর, জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী পড়ানো হচ্ছে। শুধু এসবই নয়, ভারতের বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবস, বিভিন্ন প্রদেশের নাম ও রাজধানীর নাম, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের নাম শেখানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এসবের পাশাপাশি অশ্লীল ভাষায় লেখা বইও পড়ানো হচ্ছে।

আদেশের পর ব্যারিস্টার অনিক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৭ সালের ২৫ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বাংলাদেশে থাকা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসসহ সব জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি অনুযায়ী রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়ে অনুষ্ঠান করা এবং বাংলা ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই রায় অমান্য করে উত্তরার ডিপিএস-এসটিএস ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা ও ভারতীয় বিভিন্ন দিবস, ব্যক্তি সম্পর্কে পড়ানো হচ্ছে। ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির একটি বইতে অশালীন বিষয় রয়েছে।

এ কারণে ওই স্কুলের অধ্যক্ষকে তলব করে রুল জারি করেছেন আদালত। রুলে ওই স্কুলে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা না করায় আদালত অবমাননার দায়ে তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিভাবকের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। পরে অভিভাবকরা এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

অভিভাবকদের করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানির পর ২০১৭ সালের ২৫ মে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল (প্লে-গ্রুপ থেকে ‘এ’ লেভেল পর্যন্ত) পরিচালনায় ম্যানেজিং কমিটি গঠন, জাতীয় দিবস পালন, দেশীয় সংস্কৃতিসহ বাংলায় গুরুত্ব দিতে বেশ কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

ওই রায়ের পর আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, সব প্রতিষ্ঠানের অডিট রিপোর্ট ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে হবে। পাশাপাশি দেশের সংস্কৃতি বিষয়ে, রবীন্দ্র-নজরুল, বঙ্গবন্ধুসহ স্বাধীনতায় আত্মদানকারীদের জীবনী নিয়ে অনুষ্ঠান করতে হবে।

বাংলদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।