ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিক্ষায় ক্যাডার-নন ক্যাডারদের স্বতন্ত্র রাখা উচিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৭
শিক্ষায় ক্যাডার-নন ক্যাডারদের স্বতন্ত্র রাখা উচিত

ঢাকা: বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে আত্মীকৃত নন ক্যাডারদের নিয়ে আদালতে মতামত তুলে ধরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

হাইকোর্টের আহ্বানে মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে মতামত দেন তিনি।

তার মতামত দেওয়া শেষে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য  ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ।

মতামত দেওয়ার পর আদালত থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এই বর্ষীয়ান শিক্ষক  বলেন, আমি প্রথম কথা বলেছি যে, সরকারের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। জাতীয় স্বার্থে জাতীয়করণ করা খুব ভাল কাজ। দ্বিতীয় কথা, এখানে জটিল একটা সমস্যা। কারণ বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে রেগুলার সাবজেক্টে যারা আসছেন এবং প্রাইভেট পরীক্ষা দিয়ে যারা আসছেন তাদের চাকরিগত সুযোগ সুবিধা, সিনিয়রিটি, এগুলো নিয়ে সমস্যা আছে। এই সমস্যার সমাধান সরকারকেই করতে হবে। কিন্তু এই সুযোগে সুপ্রিমকোর্টের একটা পরিচ্ছন্ন রায় দেয়া উচিত।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, এই মূলনীতির কথা আমি যতটা বুঝেছি তাতে বলেছি, দুইটা স্ট্রিমকে স্বতন্ত্র রাখা উচিত। স্বতন্ত্র রাখা ভাল হবে। ভবিষ্যতে আরও এই ধারায় জাতীয়করণের বিষয়টি ভিন্নধারায় আসবে। আর যারা বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে আসবে তাদের সিনিয়রিটি তাদের সুযোগ সুবিধা এটা যথাসম্ভব অপরিবর্তিত রাখতে হবে। আর যারা নতুন আসছেন তাদের মর্যাদা, তাদের আর্থিক সুযোগ সুবিধা যত দূর সম্ভব সরকার সব থেকে বেশিই দেবেন। কারণ তারা তো আগেই থেকেই বঞ্চনার মধ্যে আছে। সেই বঞ্চনা যতটা কাটানো যায়।

গত ৩০ নভেম্বর আইন অনুসরণ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের নিয়োগ না দেওয়ার রিটে এক আইনজীবী ও দুই শিক্ষাবিদকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন হাইকোর্ট।

তিন অ্যামিকাস কিউরি হচ্ছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন ও অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল উল আলম।

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির পক্ষে করা রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

৩০ নভেম্বর তাপস কুমার বিশ্বাস জানান, সরকার ২০০০ সালের রুলস অনুযায়ী জাতীয়করণ কলেজের শিক্ষকদের আত্মীকরণ করছেন। এ বিষয়ে একটি পক্ষ রিট করেছেন। এ রিটের শুনানিতে আদালত তিনজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

সালাউদ্দিন দোলন জানান, আইন অনুসরণ ছাড়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের নিয়োগ না দিতে ২০১৬ সালে একটি রিট করা হয়। ওই রিটে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল শুনানিতে মতামতের জন্য হাইকোর্ট তিনজনকে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।   

প্রসঙ্গত, ২০০০ সালে তৈরি করা আত্মীকরণ বিধিমালা অনুসরণ করে জাতীয়করণ করা বেসরকারি কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে আত্মীকরণ করে আসছে সরকার। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলন করছেন ক্যাডারভুক্ত শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
ইএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।