ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

উর্দুভাষি অবাঙালিদের আপাতত উচ্ছেদ নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
উর্দুভাষি অবাঙালিদের আপাতত উচ্ছেদ নয়

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর বাইরে অবৈধভাবে বসবাসরত উর্দুভাষি অবাঙালিদের উচ্ছেদে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
 
ফলে আপাতত অবাঙালিদের আর উচ্ছেদ করা যাবে না।


 
হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা চেয়ে করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সোমবার (১৬ মে)এ আদেশ দেন।  
 
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
 
গত ২৯ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ক্যাম্পগুলোর বাইরে অবৈধভাবে বসবাসরত উর্দুভাষি অবাঙালিদের উচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।
 
হাইকোর্টের রায়ে ক্যাম্পে বসবাসরতদের মধ্যে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে তাদেরকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করতে বলা হয়।
 
এ রায়ের পর অবাঙালিরা উচ্ছেদ আতঙ্ক নিয়ে স্থিতাবস্থা চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
 
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পে বসবাসরত উর্দুভাষি অবাঙালিদের উচ্ছেদের আশঙ্কা থেকে ২০০২ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন উর্দু স্পিকিং পিপলস ইউথ রিহাবিলিটেশন মুভমেন্টের (ইউএসপিওয়াইআরএম) সভাপতি মো. সাদাকাত খান ফাক্কু ও শহিদ আলী বাবলু।
 
রিট আবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্যাম্পে অমানবিক জীবনযাপন করে আসছেন প্রায় ৪ লাখ উর্দুভাষি। ১৯৯৫ সাল থেকে এসব উর্দুভাষিদেরকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র শুরু হয়।
 
এর অংশ হিসেবে ২০০২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সিটি করপোরেশন মিরপুরের পল্লবীতে প্রায় ৩৯টি ছোট-বড় ক্যাম্প বিনা নোটিশে উচ্ছেদের কার্যক্রম গ্রহণ করে।
 
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই রিট দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ক্যাম্পে বসবাসরতদের পুনর্বাসন বা মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উচ্ছেদ কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেন। পরবর্তীকালে ক্যাম্পে বসবাসরতদের উচ্ছেদ নিয়ে আরো ৮টি রিট মামলা হয়।
 
এসব রিটে জারি করা রুলের শুনানি একত্রে হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৯ মার্চ রায় ঘোষণা করা হয়।
 
রায়ের পরে ওইদিন এ বিষয়ে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদা পারভীন পপি বলেন, আদালত ৯টি রিটের ওপর জারিকৃত রুল কয়েকটি পর্যবেক্ষণ সহকারে খারিজ করে দেন। এর ফলে আনঅথরাইজড বিহারিদের উচ্ছেদে কোনো আইনগত বাধা নেই।
 
অপরদিকে আবেদনকারীদের আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান বলেছিলেন, রাজধানীর মিরপুরের পল্লবীর বিহারি ক্যাম্প, মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প ও নীলফামারীর সৈয়দপুরের বিহারি ক্যাম্পের বাইরে সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে যারা বাস করছেন, তাদের উচ্ছেদে বাধা নেই। তবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে সরকারের নীতি অনুযায়ী তাদেরকে পর্যায়ক্রমে পুনর্বাসন করতে বলা হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।