ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শমী কায়সার ও তাপস কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
শমী কায়সার ও তাপস কারাগারে

ঢাকা: আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও অভিনেত্রী শমী কায়সার এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গান বাংলার চেয়ারম্যান কৌশিক হোসেন তাপসকে ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে হত্যারচেষ্টা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


 
৬ নভেম্বর ওই দুইজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন অপর একটি আদালত। সেই রিমান্ড শেষে আজ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় পণ্ডিত মিঠুন। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

এর আগে ৫ নভেম্বর রাতে উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  অপরদিকে তাপসকে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে একই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। তবে শুনানিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আর শমীকে একই মামলায় আজ আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।  

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীসহ অন্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। উত্তরা পূর্ব থানাধীন চার নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এ সময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।  

এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কৌশিক হোসেন তাপস নয় নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।