ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুই ট্রেনে আগুন: বিএনপির নবী উল্লাহকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৪
দুই ট্রেনে আগুন: বিএনপির নবী উল্লাহকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ও মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

এ দুই মামলায় নবীর পৃথক জামিন আবেদন মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল) উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন বিচারপতি মো.শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে  রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একরামুল হক ও মো.সাইফুল আজিজ।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে গত ৫ জানুয়ারি রাতে রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে নবী উল্লাহ নবীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।  

মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন ট্রেন পরিচালক (গার্ড) মো. খালেদ মোশাররফ।  

মামলায় বলা হয়, ১৮ ডিসেম্বর রাত ১১টায় ট্রেনটি মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। ভোর আনুমানিক ৪টা ৪০ মিনিটে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন পার হওয়ার পর ৪টা ৪৩ মিনিটে ‘জ’ ও ‘ঝ’ বগির মাঝামাঝিতে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন ধরিয়ে দেয়।  

৪টা ৫৮ মিনিটে ট্রেনটি তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড় করানো হয়। এর মধ্যে আগুন ছড়িয়ে তিনটি বগি পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।      

এ মামলায় ১৫ জানুয়ারি নবীকে গ্রেপ্তারর দেখানো হয়। ১৩ মার্চ এ মামলায় জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করলে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

বেনাপেল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় ৬ জানুয়ারি ঢাকা রেলওয়ে থানায় মামলাটি করেন ট্রেন পরিচালক এস এম নুরুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়, ৫ জানুয়ারি দুপুর ১ টার সময় ট্রেনটি বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করে। ট্রেনটি জুরাইন পার হয়ে রাত ৯টার দিকে সায়েদাবাদ পৌঁছলে ‘চ’ বগিতে আগুন দেখে যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন।  

তখন শিকল টানলে ৯টা ২ মিনিটে ট্রেনটি গোপীবাগ ও গোলাপবাগের মাঝামাঝি মসজিদের সামনে দাঁড় করানো হয়। এর মধ্যে আগুন ‘ছ’ ও ‘ঙ’ বগিতে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ট্রেন থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করেন। ১০-১২ জনের মতো আহত হন।  এতে প্রায় আড়াই কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।      

এ মামলায় ১০ জানুয়ারি নবীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ১৩ মার্চ এ মামলায় জেলা ও দায়রা জজ হেলাল উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করলে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা,  এপ্রিল ২, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।