ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হেরোইনের ২৫ মামলার আসামিদের জামিনে অ্যাটর্নি জেনারেলের উষ্মা, আপিলে স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
হেরোইনের ২৫ মামলার আসামিদের জামিনে অ্যাটর্নি জেনারেলের উষ্মা, আপিলে স্থগিত

ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলায় হেরোইন উদ্ধারের ২৫ মামলায় আসামিদের হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) এমন তথ্য জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১১ ও ১২ মার্চ হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ পৃথক মামলাগুলোতে আসামিদের জামিন দেন। বিষয়টি অ্যাটর্নি  জেনারেলকে জানানো হলে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে বুধবার (১৩ মার্চ) ১২ মামলায় এবং বৃহস্পতিবার ১৩ মামলায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন, এ কে এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম।

এ বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজির ওপরের হেরোইনের ২৫টি মামলা পেলাম। দেখলাম সবগুলোতে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলাম যে, এভাবে এত পরিমাণ মাদকের মামলায় জামিন এত সহজে হয়ে যায়! এটা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে গেলাম। গতকাল কিছু মামলায় স্টে হয়েছে। আজকে অনুমতি নিয়ে আরও কিছু মামলা করেছিলাম। দুইটার সময় জাজ ইন চেম্বার বসছিলেন। আজকে ১৩টা শুনানি করে টোটাল ২৫টার মতো স্টে আদেশ পেলাম।

তিনি বলেন, সর্বোচ্চ এক কেজি ৫৩ গ্রাম, বাকিগুলো ৯০০, ৭০০, ৬০০, ৫০০, ২০০ গ্রাম এবং ৫০ গ্রামের মামলা। এটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। এর আগে একটা অবকাশকালীন বেঞ্চে ১৫টা হয়েছিল। তখন সঙ্গে সঙ্গে স্টে করিয়েছিলাম। এই ধরনের ২৫টা মামলা, হিউজ পরিমাণ মাদকের মামলা জামিন হতে দেখিনি। এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে।

হেরোইনের মামলার শাস্তির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই মামলাগুলোর শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদণ্ড। ২৫ গ্রামের বেশি হলে, যেখানে এক কেজিও রয়েছে। আদালতকে এই ধরনের মামলায় সিদ্ধান্তে আসতে হবে যে, আসামির খালাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে .....বিচারক আইন দেখবেন, সমাজের দিকে তাকাতে হবে। এত পরিমাণ মাদকের মামলায় যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে সমাজের কী অবস্থা হবে? এটা বিবেচনায় রাখতে হবে। মাদকের মামলা কঠোরভাবে দেখতে হবে। কারণ মাদক সমাজকে ধংস করে দেয়। সরকার এ ক্ষেত্রে কঠোর আইন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখেছে। যেখানে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে সেই মামলার জামিনের ক্ষেত্রে আদালতকে তার এখতিয়ার যথাযথভবে ব্যবহার করতে হবে। দুই বছর জেলে আছে, ছয় মাসে জেলে আছে, এটা কোনো কারণ হতে পারে না। দেখতে হবে তার কাছে মাদক পাওয়া গেছে কিনা, চার্জশিটে কী আছে, অন্য সাক্ষী কী বলছে।

২৫টি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে অধিকাংশ মামলায় তাদের কাছ থেকে (আসামিদের) সরাসরি (হেরোইন) উদ্ধার করা হয়েছে। প্রমাণিত হলে অধিকাংশ মামলায় আসামিদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে।       

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।