ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ফরিদগঞ্জে স্ত্রী-শাশুড়িকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
ফরিদগঞ্জে স্ত্রী-শাশুড়িকে হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার দায়ে মো. আল-মামুন মোহন (৩২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুরের দিকে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) শাহেদুল করিম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মামুন লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মিয়াজান বেপারী বাড়ির মৃত মনতাজ মাস্টারের ছেলে।  

নিহতরা হলেন- চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া এলাকার প্রবাসী মো. সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তার রিতু (২০) ও স্ত্রী পারভীন বেগম (৪৫)।  

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বর মামুন ও রিতুর বিয়ে হয়। মামুনের বাড়িতে ঘর না থাকায় রিতু বাবার বাড়িতে থাকতেন। এরই মধ্যে মামুন বিদেশে চলে যান। সেখানে কাজ না পেয়ে দেড় বছর পরে ফিরে আসেন দেশে। এরই মধ্যে নানা কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয় মামুন ও রিতুর মধ্যে। এরপর ২০২০ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়ায় এলাকায় সেলিম খানের তিনতলা ভবনের নিচতলায় সামনে ইফতারের সময় স্ত্রী ও শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন মামুন। ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক পুলিশে সোপর্দ করেন।

ছুরিকাঘাত করার পর রিতু ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তার মা পারভীন বেগম ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় রিতুর চাচা মো. লিয়াকত খান ফরিদগঞ্জ থানায় মামুনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলাটি তদন্ত করেন তৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ শহীদ হোসেন। তিনি তদন্ত শেষে ওই বছর ২৯ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। তিনি জানান, মামলাটি তিন বছরের বেশি সময় চলমান অবস্থায় আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্য নেন। সাক্ষ্য-প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা ও আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় আদালত রোববার ওই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি মামুন উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী হিসেবে আরও ছিলেন অ্যাডভোকেট দেবাশীষ কর মধু ও অ্যাডভোকেট জসিমউদদীন (২)।  

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সেলিম আকবর ও অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।