ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রেমের জেরে যুবক খুন, ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
প্রেমের জেরে যুবক খুন, ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন প্রতীকী ছবি

নোয়াখালী: ২০১৮ সালে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় প্রেমের জেরে কামরুল ইসলাম সাগর (২০) নামে এক যুবককে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

 

এছাড়া পৃথক একটি ধারায় দুই ভাইকে আরও ১০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এ রায় দেন। এ সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওই উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে মধ্য চরবাটা গ্রামের পূণ্য মহাজন বাড়ির মনোরঞ্জন দাসের ছেলে মিঠু চন্দ্র দাস ও জিতু চন্দ্র দাস।  

আদালত সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়িতে বসবাসের সুবাদে দূর সম্পর্কের চাচা রহমত উল্ল্যার মেয়ে মমতাজের (১৯) সঙ্গে কামরুল ইসলাম সাগর নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এনিয়ে রহমত উল্ল্যার পরিবারের লোকজন একাধিক বার সাগরকে মারধরের চেষ্টা করে। কিন্তু মমতাজ প্রায়ই পরিবারের অগোচরে সাগরের সঙ্গে দেখা করতো। এভাবে তাদের সম্পর্ক চলতে থাকে ৩-৪ বছর। বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মমতাজের বাবা রহমত উল্যা তাদের পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী মিঠু চন্দ্র দাসকে সাগরের পেছনে লেলিয়ে দেন। কিন্তু, কিছু দিন পর দেখা যায়, মিঠুর সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মমতাজের! এর সূত্রধরে মিঠু বিভিন্ন সময় সাগরকে আরও বেশি হুমকি-ধমকি দেওয়া বাড়িয়ে দেন।  

২০১৮ সালের ৮ জুন মমতাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে সাগরের বাড়ির পাশের সড়কে মিঠুর সঙ্গে সাগরের হাতাহাতি হয়। এরই জেরে আপন ভাই জিতুকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন রাতে সাগরকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান মিঠু। পরের দিন ৯ জুন রাত ১টার দিকে সাগরকে প্রথমে মারধর করে মিঠু ও জিতু। এরই কিছু সময় পর সাগরের বুকের ওপর চেপে বসেন মিঠু, তখন আরেক ভাই জিতু তাকে (সাগর) শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে মরদেহ গুম করার উদ্দেশে বস্তায় ঢুকিয়ে পাশের একটি বাগানে ফেলে দেন। পরদিন পুলিশ ওই স্থান থেকে সাগরের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় সাগরের ভাই বাদী হয়ে মিঠু ও জিতুসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) গুলজর আহমেদ জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।