ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাব্বির হত্যা মামলায় জাকির খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৪ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
সাব্বির হত্যা মামলায় জাকির খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় আসামি জাকির খানকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।

রোববার (১৮ জুন) তার জামিন আবেদন বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকার্ট বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

 

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া।  

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া জানান, আসামিকে জামিন না দিয়ে আবেদন কার্যতালিকা থেকে ডিলিট করে জামিন আবেদন ফেরত দেন।  

গত ৭ মে ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জের এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা জাকির খানের জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত উম্মে সারাবান তহুরা। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।

এ মামলায় নারায়ণগঞ্জের আদালত আগামী ১৩ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রেখেছেন।  

গত ৭ মে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার বাদী ও নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের ভাই বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছিলেন, এ মামলা ছাড়াও জাকির খান আরও দুটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। হাইকোর্ট একটি মামলায় তার আট বছরের সাজা বহাল রেখেছেন। তার যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, তিনি বাইরে থাকলে সাক্ষীরা আসতে ভয় পাবেন। আগামী ১৩ জুলাই অন্য সাক্ষীরা আসবেন। আমরা আদালতে বলেছি, তিনি একজন দুর্ধর্ষ আসামি। টানবাজারের পতিতালয়ের মালিক ছিলেন তার বাবা। তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ না করে পালিয়ে গেছেন। ১৯ বছর তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। এ সময়ও তিনি নানা অপরাধ করেছেন। র‍্যাব তাকে অস্ত্রসহ আটক করেছে।  

সাব্বির আলম খন্দকার ছিলেন দেশের গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি।

২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালীন একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম নিজের জানাজায় সবাইকে শরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।

ওই বক্তব্য দেওয়ার কয়েকদিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারি শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।

এরপর ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সাব্বির হত্যাকাণ্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদী হয়ে ১৭ জনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।