ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিক্ষার্থী সুমনের রহস্যজনক মৃত্যু, আদালতে বাবার মামলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২২
শিক্ষার্থী সুমনের রহস্যজনক মৃত্যু, আদালতে বাবার মামলা নিহত আরিফ মাহমুদ সুমন

ঢাকা: বেসরকারি সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ মাহমুদ সুমনের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

সোমবার হত্যার অভিযোগ এনে একই আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন নিহতের বাবা আলী আকবর। দুই আসামি হলেন—মোহাম্মদ হৃদয় মিয়া (২২) ও রনি হোসেন (২৭)।

আদালতে বাদীপক্ষে আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম ও মুহাম্মদ ইয়াছিন শুনানি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আরিফ মাহমুদ সুমন চলতি বছর ৯ জুন মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় তার সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। এরপর তাকে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে নিয়ে মাথায় অপারেশন করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় মামলা করতে যান বাদী আলী আকবর। পুলিশ মামলা না নিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সুমনের মৃত্যু হয়েছে বলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করিয়ে নেয়। তবে সেই জিডির তদন্তও হয়নি। এ অবস্থায় চলতি বছর ২৫ জুলাই ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান।

মৃত্যুর পর লাশ ময়নাতদন্ত না করে বাদীর কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। যেখানে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যুও এবং ময়নাতদন্ত করবে না মর্মে বাদীর কাছ থেকে চাপ দিয়ে লিখিত কপিতে স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর পুলিশ ঘটনা তদন্তের আশ্বাস দিলেও দীর্ঘদিনে তদন্ত না করায় নিহতের বাবা আদালতে এই মামলা করলেন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সুমনের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আসামিদের কাছ থেকে নিহত সুমনের মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ বাদীকে ফেরৎ দেয়। তবে বাদী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সুমন বেসরকারি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগ থেকে অনার্স সম্পন্ন করে খণ্ডকালীন একটি প্রজেক্টে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করছিলেন। একই সঙ্গে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনা করছিলেন। তার বাবা আলী আকবর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অফিস সহকারী পদে কর্মরত। সুমন পরিবারের সঙ্গে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার ঢাকা পলিটেকনিক স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২২
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।