ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৩)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২৩) রহস্য দ্বীপ

আমার ধারণা ওটা হ্রদে গিয়ে পড়েছে, মাইক বলে। এটা খুব ছোট্ট একটা ঝরনা, কিন্তু আমরা আমাদের কেটলিটা ভরতে পারবো। তাহলে অন্য ঝরনার মতো আমাদের খুব একটা দূরে যেতে হবে না। শীতে গুহায় থাকার সময় কাছাকাছি হওয়ায় সেটা তখন কাজে আসবে।

ওরা কেটলি ভরে। জুনের রোদে পাহাড়ের চারপাশ খুব মনোরম দেখায়।

চারদিকে মৌমাছি গুন গুন করছে আর প্রজাপতিরা উড়ে বেড়াচ্ছে, পাখিরা আপন মনে গান গাইছে এবং নিচের জলে দু’টা জল-কুক্কুট ফুলুক, ফুলুক করে চেঁচাচ্ছে।

চলো পাহাড়ের ওপর থেকে লুকিয়ে দেখা যাক হ্রদে কেউ যাওয়া-আসা করছে কিনা, জ্যাক বলে। ওরা তাই ওপরে ওঠে, কিন্তু কারও টিকিটি পর্যন্ত দেখা মেলে না। লেকের জল খুবই স্বচ্ছ, শান্ত, আর নীল। সেখানে একটা নৌকা পর্যন্ত নেই। এই শিশুরা বোধহয় পৃথিবীতে একেবারেই একা।

ওরা ভরা কেটলি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে মেয়েদের কাছে যায়। কীভাবে সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে তা গর্ব করে নোরা আর পেগি তাদের দেখায়। বড় শেকড়গুলোকে ওরা তাক হিসেবে কাজে লাগিয়েছে, আর নিচর দিকটা, জ্যাকের কুড়াল এবং ছুরি, তারকাটা, আর হাতুড়িসহ এটা সেটা রাখার কাজে ব্যবহার করেছে।
চমৎকার একটা শুকনো জায়গা এটা, পেগি বলে। ভাঁড়ারের জন্য উপযুক্ত একটা স্থান, আর খাড়ির খুব কাছে। জ্যাক, আমরা কোথায় আমাদের বাড়ি বানাবো?

রহস্য দ্বীপজ্যাক মেয়েদের ও মাইককে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমে খাড়ির একেবারে শেষ মাথায় ঘন উইলো বনের সারির কাছে যায়। সে বন ঠেলে ভেতরে ঢুকে গাছের ভিড়ের একেবারে মাঝখানে ফাঁকা একটা জায়গা দেখায়।

এটাই সেই জায়গা, সে বলে। এখানে একটা বাড়ি আছে, কেউ কখনও চিন্তাও করতে পারবে না! উইলো গাছগুলো এতোটাই ঘন হয়ে জন্মেছে যে আমার ধারণা এখান দিয়ে ভেতরে ঢোকা যায় তা আমাদের ছাড়া অন্য কেউ ভাবতেও পারবে না।

ক্লান্ত হয়ে পড়ার আগপর্যন্ত ওরা ওদের বাড়ি নিয়ে কথা বলতে থাকে। ওরা পথ করে ওদের ছোট্ট সৈকতে ফিরে আসে এবং জ্যাক জানায় সবাই এক কাপ কোকা, একটুকরো কেক পাবে। তারপর সবাইকে বিছানায় যেতে হবে!
সে এবং মাইক শিগগিরই আগুন জ্বালায়। সেখানে প্রচুর ছোট ছোট ডালপালা আর বড় আকারের কয়েক খণ্ড কাঠ দেওয়া হয়। আগুনের নৃত্য দেখতে খুব মজা লাগে। সূর্যটা যথেষ্ট তেঁতে না ওঠায় কাগজ বা ডালে আগুন ধরাতে জ্যাক তার আতশকাচটা কাজে লাগাতে পারে না। সে ম্যাচ ব্যবহার করে। আগুনে জল সিদ্ধ করার জন্য সে ওর ওপর কেটলিটা রাখে।

কাল থেকে কাঠের তিনপায়া থেকে আগুনের ওপর কেটলি ঝুলিয়ে দিলে ভালো হবে, সে বলে। তখন ওটা আরো দ্রুত গরম হবে।

চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
 

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৭
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।