ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৯)

এখনও আমাদের অনেক কাজ করা বাকি, জ্যাক গম্ভীর স্বরে বলে। এর পুরোটাই আমাদের কাছে মজার আর উত্তেজনাকর মনে হলেও- এটা কিন্তু কাজও এবং সবকিছু মনদিয়ে করা চাই।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

এখনও আমাদের অনেক কাজ করা বাকি, জ্যাক গম্ভীর স্বরে বলে। এর পুরোটাই আমাদের কাছে মজার আর উত্তেজনাকর মনে হলেও- এটা কিন্তু কাজও এবং সবকিছু মনদিয়ে করা চাই।

প্রথমে, এইসব জিনিসপত্র ফাঁপাগাছ থেকে বয়ে নিয়ে নৌকায় তুলতে হবে। মাইক, তুমি কিছু কিছু বের করে মেয়েদের হাতে দেবে। তারপর আমারা দু’জন ভারি জিনিসগুলো নেবো। আশা করছি গাছটা খালি করার আগ পর্যন্ত আমাদের আরও তিন চারবার এখানে ফিরে আসতে হবে।

ওরা চারজন মনের আনন্দে, যতটা পারা যায় বয়ে নিয়ে যেতে থাকে। ভীষণ রোদ, এবং ওরা প্রচণ্ড ক্লান্ত হয়ে হাঁপাতে থাকে, কিন্তু সেদিকে কে খেয়াল করে? শেষ পর্যন্ত ওরা রহস্য দ্বীপে যাচ্ছে!

সবাই সুন্দর মতো হেঁটে নৌকার কাছে যায়, এবং সবকিছু খুব সাবধানে নিয়ে চারজন একসঙ্গে রওনা হয়। শেষে সেই ফাঁপাগাছে আর কোনো কিছুই বাকি থাকে না। ওদের আর সেখানে ফিরে আসার দারকার হয় না।

আমি খুবই খুশি, মাইক বলে। যতবার ফাঁপাগাছটার কাছে ফিরে গিয়েছি ততবারই মনে হয়েছে খালা-খালু বুঝি আমাদের ধরতে ওর ভেতর ওঁত পেতে আছে, নোরা বলে। খালা-খালুকে আমরা চিরদিনের মতো পেছনে ফেলে রেখে যাচ্ছি!

ওরা নৌকায় গিয়ে ওঠে এবং যতটা পারা যায় গাদাগাদি করে জিনিসপত্র সব এক করে রাখে। নৌকাটা বড় হওয়াতে ভালোই হলো, তা না হলে তাতে কিছুতেই সবকিছু আটতো না। তলায় কোনো কিছু রাখবার আগে বাচ্চারা পানি সেচে বাইরে ফেলে। অনেকগুলো ফুটো থাকলেও, টিন দিয়ে নিয়মিত সেচতে পারলে সব ঠিকই আছে।

মাঝে মধ্যে তীরের দিকে খেয়াল রেখো, কোন কিছু ফেলে গেলো কিনা নিশ্চিত হতে তীরের চারপাশটা দেখে নিয়ে, জ্যাক বলে, আমরা কি প্রস্তুত?
এ্যই, এ্যই, ক্যাপটেন! তিনজন চিৎকার করে ওঠে। জোরছে ঠেলো!

নৌকায় ধাক্কা দেয়া হয়। মাইক এবং জ্যাক দুজনেই একটা করে বৈঠা হাতে নেয়, কারণ নৌকাটা খুবই ভারী এবং সেটা টানার জন্য দুজন লোক দরকার। গভীর জলের ওপর খুব সহজেই সেটা ভেসে বেড়াতে থাকে।

অবশেষে আমরা রওনা হলাম! নোরা বলে, আদুরে গলায় ছোট্ট করে কথাটা বলার সময় সে প্রায় কেঁদেই ফেলবে বলে মনে হচ্ছিল।

কেউ এর বেশি কিছুই আর বলে না। মাইক আর জ্যাক শক্ত হাতে বৈঠা বাওয়ায় নৌকা ভেসে ভেসে এগিয়ে চলে। পেগি জল সেচতে থাকে। ঘুমাবার জন্য ভালো বিছানা পাবে কিনা ভাবে। ভাবে ঘুম ভাঙার পর নীল আকাশ দেখতে কেমন লাগবে- যখন তখন এটা সেটা করতে বলবার জন্য কেউ থাকবে না। তার খুব ভালো লাগে!

দ্বীপটা অনেক দূর। সূর্যটা একটু একটু করে আরও উপরে উঠতে থাকে। অভিযানটা ধীরে ধীরে আরো উতপ্ত হতে থাকে। অবশেষে নোরা আঙুল তাক করে সামনে দেখায়।

রহস্য দ্বীপ! সে চেঁচিয়ে ওঠে। রহস্য দ্বীপ!

চলবে....

আরও পড়ুন:
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৬
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।