ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না এরশাদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
তত্ত্বাবধায়ক সরকার চান না এরশাদ রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ- ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: জাতীয় পার্টির চেয়রম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‌‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। কারণ, অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানরা জাতীয় পার্টির প্রতি সুবিচার করেনি। সবাই বেঈমানি করেছে। অতীতে সবাই জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে’।

জাতীয় পার্টির চেয়রম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ‌‘আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। কারণ, অতীতের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানরা জাতীয় পার্টির প্রতি সুবিচার করেনি।

সবাই বেঈমানি করেছে। অতীতে সবাই জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছে’।

মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ এসব কথা বলেন।

রাজশাহী মহানগরীর উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বিএনপির ভিশনে আওয়ামী লীগ ভীত হয়ে গেছে মন্তব্য করে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, ‘এই ভিশনে আওয়ামী লীগ যেন ভীত হয়ে গেছে। এ নিয়ে কত কথা হচ্ছে! এদিকে তীব্র দাবদাহ, রাজনীতিতেও তাপদাহ। রাজনীতিতে এখন বাগযুদ্ধ চলছে’।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যদি সেই শক্তি থাকতো, চুপ করে থাকতো। দেখতো, বেগম জিয়া কী করতে পারেন ২০৩০ সালে। ২০৩০ তো অনেক দূরে। এমন বাগযুদ্ধে আওয়ামী লীগের দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে। আমরা নির্বাচন করবো। আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই না। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে একটা সুষ্ঠু পরিবেশের মধ্যে নির্বাচন করতে চাই এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাই’।

তিনি আরও বলেন, ‘রমজান আসছে। চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। কিন্তু কারো কোনো কথা নেই। খুন-গুম নিয়ে সবাই শঙ্কিত। কারোই নিরাপত্তা নেই। কিন্তু জাতীয় পার্টির শাসনামলে এসব ছিল না। আমার হাতে রক্তের দাগ নেই। নূর হোসেনকে পুলিশ হত্যা করেনি। তাই তার পরিবারকে আমি সহায়তা দিয়েছি। এখনো মানুষ বিশ্বাস করে, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় এলে জনগণের সুদিন ফিরবে’।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন- পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন- পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, মেজর (অব.) খালেদ আকতার, এসএম ফয়সাল চিশতি, মজিবর রহমান সেন্টু, ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, সুনীল শুভ রায় প্রমুখ।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন রিন্টু।

২০১৪ সাল থেকে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। পরে জাতীয় পার্টির জেলার সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন এরশাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০১৭
এসএস/জিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।