ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

শাবান মাসের রোজাকে ভালোবাসা ফজিলতের কাজ

মুফতি মাহফূযুল হক, অতিথি লেখক, ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
শাবান মাসের রোজাকে ভালোবাসা ফজিলতের কাজ

হিজরি বর্ষের অষ্টম মাসের নাম শাবান। এর পরের মাসই হলো- পূণ্যের বসন্তকাল পবিত্র রমজান মাস।

তাই শাবান মাস এলেই রমজানের পবিত্রতার আবহ শুরু হয়ে যায়।

পবিত্রতার সঙ্গে রমজানকে বরণ করে নেওয়ার জন্য পবিত্র হাদিস শরীফে শাবানের বেশ কিছু ফজিলত ও করণীয় বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো হলো- 
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে শাবান মাসের রোজা সবচেয়ে বেশি প্রিয় ছিল।
’ – বায়হাকি: ৮৬৯১
হজরত আবু হুরায়রার (রা.) সূত্রে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বর্ণনা করেন, ‘রমজান ঠিক রাখার জন্য শাবানের চাঁদ গণনা কর। ’ –সুনানে তিরমিযি: ৬৮৭

হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একদা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো- হে আল্লাহর রাসূল! কোন রোজার ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, ‘রমজান মাসের সম্মানার্থে শাবান মাসে কৃত রোজার ফজিলত বেশি। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো- কোন দানের ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, রমজান মাসে কৃত দানের ফজিলত বেশি। ’ –বায়হাকি: ৮৭৮০

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বছরের অন্য কোনো মাসে শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। শাবান মাসে তিনি প্রায় সারা মাসই রোজা রাখতেন। খুব সামান্য কয়েক দিন বাদ যেত। ’ –সুনানে তিরমিযি: ৭৩৬

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসের তারিখ এতটাই মনে রাখতেন যতটা অন্য মাসের তারিখ মনে রাখতেন না। শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন রমজানের রোজা রাখতেন। আর সেই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান ৩০তম দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা শুরু করতেন। ’ –সুনানে আবু দাউদ: ২৩২৭

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাস ব্যতীত আর কোনো সময় পূর্ণ মাসব্যাপী রোজা রাখতেন না এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজাও অন্য কোনো মাসে রাখতেন না। ’ –সহিহ বোখারি: ১৯৬৯
উপরুক্ত হাদিসসমূহের আলোকে শাবান মাসের কয়েকটি আমল প্রমাণিত হয়। সেগুলো হলো- 
১. মনে-প্রাণে অধীর আগ্রহে রমজানের অপেক্ষা করতে থাকা।
২. শাবানের প্রতিদিন চাঁদের তারিখ মনে রাখা, ভুলে না যাওয়া। শাবানের চাঁদের তারিখ হিসাব করে রমজানের অপেক্ষা করা।
৩. শাবানের রোজাকে ভালোবাসা।
৪. যত বেশি সম্ভব শাবান মাসে রোজা রাখা। তবে ২৭ শাবানের পর রোজা রাখা যাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।