ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ তিন কাজ সম্পন্ন করবেন হাজিরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭
হজের আনুষ্ঠানিকতায় আজ তিন কাজ সম্পন্ন করবেন হাজিরা আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজিরা। ছবি: বাংলানিউজ

মক্কার মুজদালিফা থেকে: সৌদি আরবে আজ ১০ জিলহজ (১ সেপ্টেম্বর) শুক্রবার। হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে সকালে হাজিরা মুজদালিফা থেকে রওনা হয়ে মিনা পৌঁছুবেন।

মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় গিয়ে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন।

মুজদালিফায় অবস্থানের ফজিলত ও বিধান

মুজদালিফা থেকে মিনায় যাওয়ার পথে পথিমধ্যে আবরাহার হস্তিবাহিনীকে আবাবিল পাখি কঙ্কর মেরে যেখানটিতে ধ্বংস করেছিল সেই ওয়াদিউন্নার বা ওয়াদিয়ে মুহাসসার নামক স্থান অতিক্রম করতে হবে দ্রুততার সঙ্গে।



হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজিরা।  ছবি: বাংলানিউজগতকাল বৃহস্পতিবার আরাফাতের ময়দান থেকে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রওনা দিয়ে হজযাত্রীরা ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত মুজদালিফা পৌঁছেন। মুজদালিফা পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করে খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করেন।

আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের ফজিলত

রাতযাপন শেষে এখান থেকে পশ্চিমে মিনায় যাবেন শয়তানকে কঙ্কর বা পাথর মারার জন্য। যাওয়ার আগে এখান থেকে অন্তত ৭০টি কঙ্কর সংগ্রহ করবেন সবাই।
মিনায় পৌঁছে শুধু শয়তানের বড় স্তম্ভে (জুমরাতে উকবা) ৭টি পাথর মারবেন। অন্য স্তম্ভগুলোতে আজ শুক্রবার পাথর মারা যাবে না।

মুসলিম উম্মাহর হজ পালন

(জামরাতে) পাথর মারার পর কোরবানির নির্দিষ্ট নিয়মে একটি কোরবানি করতে হবে। কারো ক্ষতিপূরণমূলক কোরবানি (দম) দেওয়ার থাকলে সেটা আদায় করবেন। কেউ ইচ্ছা করলে একাধিক নফল কোরবানিও করতে পারবেন।

হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন হাজিরা।  ছবি: বাংলানিউজকোরবানি করার পর মাথা মুড়াতে হবে অথবা চুল ছাঁটতে হবে। এসব কাজ সমাধার পর ফরজ তওয়াফ বা তওয়াফে জিয়ারত করতে হবে। কিন্তু অত্যধিক ভিড় এড়ানোর জন্য  ফরজ তাওয়াফ ইচ্ছা করলে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত বিলম্বিত করার সুযোগ রয়েছে।

১২ জিলহজ সকালে তিনটি স্তম্ভে পাথর মেরে মিনা থেকে চূড়ান্তভাবে বিদায় হয়ে মক্কা শরিফে এসে ফরজ তওয়াফ করার সুযোগ রয়েছে। এর আগে করলে আবার পাথর মারার জন্য মিনায় ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭
এমএইউ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।