ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

সৎ চরিত্রবান মানুষই আসল মর্যাদার অধিকারী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
সৎ চরিত্রবান মানুষই আসল মর্যাদার অধিকারী ছবি: সংগৃহীত

বলা হয়, ‘মানুষ মানুষের জন্য। ’ তো মানুষকে শুধু সেবা-শুশ্রূষা কিংবা দান-খয়রাত করলেই এ কথা যথার্থতা পূরণ হয় না।

সেই সঙ্গে সুন্দর আচরণ অতীব জরুরি একটি বিষয়। সুন্দর আচরণ একটি ইবাদতও বটে।

আপনি একজন মানুষকে তার দুঃখ-দুর্দশা লাঘবে সাহায্য করলেন ঠিকই; কিন্তু তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করলেন। তাতে আপনি ইবাদত-বন্দেগি করেও সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন।
আপনি আপনার প্রতিবেশীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ করবেন- এটা সৎ প্রতিবেশীর কর্তব্য বিশেষ। কিন্তু সে কর্তব্য পালন না করে করলেন তার উল্টো। তাতে আপনার পাশে থেকেও লোকটি আপনার প্রতি অসন্তুষ্ট। শুধু তা-ই নয়, আপনার নিজ পরিবার-পরিজন, স্ত্রী-পুত্রের সঙ্গে খারাপ আচরণ করলে তা দুনিয়া ও আখেরাতে কোথায়ও আপনার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।

সুন্দর আচরণ তথা সৎ চরিত্র দুনিয়া ও আখেরাতে মানুষের জন্য উপকার বয়ে আনবে। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘সবচেয়ে উত্তম মুমিন কে? এমন প্রশ্ন করেন একজন সাহাবি প্রিয় নবীকে (সা.)। প্রিয় নবী (সা.) সেই সাহাবির প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, যার চরিত্র সর্বাপেক্ষা উত্তম। ’ হাদিসটি রেওয়ায়েত করেছেন হজরত আতা আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে।

সুন্দর চরিত্রবান মানুষ শুধু মানুষেরই প্রিয়পাত্র নয়, আল্লাহরও প্রিয়পাত্র এবং আখেরাতেও মর্যাদার অধিকারী হবেন। আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, বান্দা তার উত্তম চরিত্রের বিনিময়ে আখেরাতে বহু মর্যাদা ও সম্মান লাভ করবে। অথচ ইবাদতের দিক থেকে সে দুর্বল। আরেক ব্যক্তি ইবাদতগুজার। কিন্তু অসৎ চরিত্রের কারণে সে জাহান্নামে যাবে।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রিয় নবীকে (সা.) একবার জিজ্ঞেস করা হলো- মানুষকে কোন জিনিস জান্নাতে প্রবেশ করাবে? উত্তরে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তাকওয়া ও সৎ চরিত্র। এরপর জিজ্ঞেস করা হলো, হে রাসূল (সা.)! কোন জিনিস বেশি জাহান্নামে নিক্ষেপ করাবে- জবাবে রাসূল (সা.) বললেন, মুখ ও লজ্জাস্থান।

হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি কি তোমাদের এ কথা বলে দেব না যে কামেল ও পূর্ণ মুমিন কে? (এ প্রশ্ন করেই তিনি এর জবাবে বলেন) কামেল মুমিন হলো সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র উত্তম। যারা সবার সঙ্গে মিলেমিশে ও সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করে। সুন্দর চরিত্র ও উত্তম আচরণকারী মুমিন ব্যক্তি তার সুন্দর আচরণের কারণে মানুষের মধ্যে যেমন সুন্দর মানুষ বা ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে, তেমনি কাল আদালতে আখেরাতে আগুন তাকে ভক্ষণ করবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।