ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ধর্ম শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে বৃটেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
ধর্ম শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে বৃটেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়

যুক্তরাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিকি মরগ্যান (Nicky Morgan) বলেছেন, দেশটির স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের অবশ্য অবশ্যই ধর্ম শেখাতে হবে এবং সেই সঙ্গে তাদের নাস্তিক্যবাদের ওপর ধর্মকে প্রাধান্য দেওয়াও শেখাতে হবে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) নাস্তিক্যবাদী স্কুলগুলোর প্রতি তার এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি স্পষ্ট করেন যে, ধর্মহীনতাকে ধর্মের সমান মর্যাদা দেয়ার দরকার নেই। খবর টেলিগ্রাফ

এর আগে, স্কুলগুলোর শিক্ষাক্রম থেকে নাস্তিক্যবাদ তুলে দেওয়ার বিষয়ে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেয় দেশটির হাইকোর্ট। এর পরেই এমন মন্তব্য করলেন নিকি মরগ্যান।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মানবতাবাদীরা মানুষের বিকাশ বাধাগ্রস্ত করতে তাদের কাজের অংশ হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করছে। এর মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নাস্তিক্যবাদ শিখতে বাধ্য করা হচ্ছে। স্কুলগুলোর প্রতি দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া নতুন নির্দেশনা অনুসারে, কোনো স্কুলে ধর্মের সঙ্গে ধর্মহীনতা শিক্ষা দেওয়া বা নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেওয়ার জন্য সমান সময় দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

মরগ্যান বলেন, ‘সরকার শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম শিক্ষার স্বাধীনতা সুরক্ষিত রাখতে চায়। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, ধর্মীয় এবং ধর্মহীন উভয় স্কুলগুলোতেই ধর্মশিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত এবং ধর্মহীনতার ওপর ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া উচিত। ’

মরগ্যানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, মরগ্যান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, শিক্ষার্থীদের মাতা-পিতাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী আদালতকে ব্যবহার করে তাদের নাস্তিক্যবাদ শিক্ষা দেওয়ার জন্য বাধ্য করছে। এর কারণেই তিনি স্কুলে খ্রিস্টধর্মসহ অন্য প্রধান ধর্মগুলো শিক্ষা দেওয়ার অধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ধর্ম শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে একটি নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করে যুক্তরাজ্যের সরকার। এতে খ্রিস্ট ধর্ম, ক্যাথলিক ধর্ম, ইহুদি ধর্ম, ইসলাম, বৌদ্ধ ধর্ম এবং শিখ ধর্ম শিক্ষার ব্যাপারে প্রাধান্য দেওয়া হয়।

এর বিরুদ্ধে একটি ব্রিটিশ মানবতাবাদী সংগঠনের সহায়তায় দেশটির আদালতে মামলা করে তিন অভিভাবক। আদালত তাদের পক্ষে রায় দেয়। তবে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় মনে করছে, স্কুলে ধর্ম শিক্ষা প্রাধান্য দেয়া উচিত।

উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্য একটি খ্রিস্টান দেশ। খ্রিস্টান ধর্মের পরই ইসলাম ধর্ম ব্রিটেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। ব্রিটেনে প্রায় ২৭ লাখ মুসলমানের বসবাস। মুসলমানদের ৭৪ শতাংশ মুসলিম এশীয় বংশোদ্ভূত। এর মধ্যে বাংলাদেশি ১৬ শতাংশ।



বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।