ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

বসুন্ধরার ইফতার পেয়ে খুশি ভাটারা এলাকার মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
বসুন্ধরার ইফতার পেয়ে খুশি ভাটারা এলাকার মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর ভাটারা এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য মাসব্যাপী ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

এই উদ্যোগের ফলে ভাটারা এলাকার পাঁচটি মাদরাসার দুই হাজার ২০০ জনের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিদিন ইফতারের সুযোগ পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় সরেজমিনে ইফতারের আগ মুহূর্তে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় গিয়ে দেখা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপের পাঠানো ইফতার সামগ্রী গুছিয়ে পরিবেশনে ব্যস্ত সময় পার করছে ছোট-বড় শিক্ষার্থীরা। যেখানে ছিল ইফতারের অতি পরিচিত পদ ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, নানা রকমের ফলসহ বাহারি বিভিন্ন পদ।  

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সারিবদ্ধভাবে ইফতার সামনে নিয়ে বসে সময় হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মাদরাসার ছাত্রদের পাশাপাশি পথচারীরাও ইফতার আয়োজনে অংশ নেন। ইফতারের পর শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের চোখে-মুখে তৃপ্তির উজ্জ্বলতা ফুটে ওঠে।

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসায় দুই বছর যাবত নাজেরা পড়ছেন সাফোয়ান খান সিনান নামের এক শিক্ষার্থী। বাসা নর্দা হলেও এই মাদরাসার আবাসিকে থাকেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট এই শিক্ষার্থী। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পাঠানো ইফতার পেয়ে খুশি এই শিক্ষার্থী।  

সাফোয়ান খান সিনান বাংলানিউজকে বলে, রমজান মাসে আমাদের অনেকের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বসুন্ধরা আমাদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করে আমাদের অনেক উপকার করেছে।

এই মাদরাসার আরেক ছাত্র মো. আব্দুল্লাহ আল খুবাইবের বাসা মিরপুর ১০ নম্বর এলাকায়। সে কোরআনের ১৬ পারা হেফজ সম্পন্ন করেছে। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পাঠানো ইফতার পেয়ে এই শিক্ষার্থীও বেশ উচ্ছ্বসিত।  

সেহরিতে কী খাওয়া হয় জানতে চাইলে এই শিক্ষার্থী বলে, রোজায় যেহেতু সারাদিন কিছু খাওয়া হয় না, তাই আমাদের সেহরিতে ভালো খাবার দেওয়া হয়। থাকে মাছ, খাসির মাংসসহ নানা পদের ভালো তরকারি।

জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, বর্তমানে রোজায় আমাদের মাদরাসায় তিন শাখায় প্রায় এক হাজার জনের মতো শিক্ষার্থী আছেন। রমজান বাদে আমাদের এই মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের সংখ্যা থাকে প্রায় দুই হাজার ৩০০ জনের মতো। রমজান মাস উপলক্ষে আমাদের মাদরাসায় বর্তমানে ৪০০ জনের মতো হাফেজ আছেন। এ ছাড়া পুরো বছর এই মাদরাসায় হাফেজের সংখ্যা থাকে প্রায় দুই হাজারের মতো। বর্তমানে বাকিরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তারাবিহ পড়াতে চলে গেছেন। এই মাদরাসায় বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সহায়তায় এবং নিজেদের ফান্ড দিয়ে শিক্ষার্থীদের ইফতার করানো হয়। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের এখানে ৭০০ শিক্ষার্থীর ইফতারের জিম্মা নিয়েছে।

প্রধান শিক্ষক মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী বলেন, রমজান মাস উপলক্ষে আরব বিশ্বের মানুষজন অনেক বড় পরিসরে ইফতারের আয়োজন করেন। আমাদের দেশের বিত্তবানেরাও নানা দান-দক্ষিণা করেন। বাংলাদেশে হাতেগোনা যে কয়জন এই কাজগুলো করেন তাদের মধ্যে বসুন্ধরা অন্যতম। বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে এত সুন্দর একটি উদ্যোগ ও সওয়াবের কাজের জন্য মাদরাসার পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।