ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুরা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুরা প্রতীকী ছবি

পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১১২তম সূরা হলো সুরা ইখলাস (যার অর্থ: একনিষ্ঠতা), আয়াত সংখ্যা ৪টি, পারার ক্রম ৩০, রুকুর সংখ্যা ১, সিজদার সংখ্যা ০, শব্দের সংখ্যা ১৫, অক্ষরের সংখ্যা ৫৮, পূর্ববর্তী সূরা- সূরা লাহাব এবং পরবর্তী সুরা- সুরা ফালাক, সুরাটি মক্কায় নাকি মদিনায় অবতীর্ণ এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।

মক্কার মুশরিক বা মদিনার ইহুদিরা নবীজি (সা.)-কে প্রশ্ন করেছিল, আল্লাহর বংশ-পরিচয় কী? তাদের প্রশ্নের জবাবে উক্ত সুরাটি নাজিল হয়।

সূরা ইখলাস অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি সুরা। হাদিসে সূরা ইখলাসকে কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ বলা হয়েছে। বর্ণিত রয়েছে, একবার রাসূল (সা.) বললেন, তোমরা একত্র হও, আমি তোমাদের কোরআনের এক-তৃতীয়াংশ শোনাব। এরপর রাসূল (সা.) সুরা ইখলাস পাঠ করলেন। (সহিহ মুসলিম)

হাদিসে আরো এসেছে, এই সুরার ভালোবাসা আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত লাভের কারণ হয়। এ সুরা পাঠ করতে যে ভালোবাসে, আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর রাসূলকে (সা.) বললেন, আমি এ সুরাকে ভালোবাসি, ‘রাসূল (সা.) বললেন, সুরা ইখলাসের প্রতি ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে’। (মুসনাদে আহমদ)

আয়েশা (রা.) বলেন, কোনো এক যুদ্ধে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জনৈক ব্যক্তিকে সেনাদলের নেতা করে পাঠালেন। তিনি নামাজের ইমামতিতে প্রতি ওয়াক্তেই সুরা ইখলাস পড়ে কেরাত শেষ করতেন। সেনাদল ফিরে আসলে তারা আল্লাহর রাসূলকে (সা.) বিষয়টি বললেন। রাসূল (সা.) বললেন, জিজ্ঞেস কর, তিনি কেন এ রকম করেছেন। তারা তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যেহেতু এ সুরায় দয়াময় আল্লাহর গুণাবলীর উল্লেখ আছে, তাই আমি এ সুরাটি পাঠ করতে ভালোবাসি। এ কথা শুনে আল্লাহর রাসূল সা.) বললেন তাকে জানিয়ে দাও যে আল্লাহও তাকে ভালোবাসেন’। (সহিহ মুসলিম)


সুরা ইখলাস


(১)
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
কুল হুয়াল্লাহু আহাদ
বলো, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।


(২)
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহুস-সামাদ
আল্লাহ কোন কিছুর মুখাপেক্ষী নন, সবই তাঁর মুখাপেক্ষী।


(৩)
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ
তাঁর কোন সন্তান নেই এবং তিনিও কারও সন্তান নন


(৪)
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ।
তার সমকক্ষ কেউ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।