ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

যৌন হয়রানি রুখতে ৩০০ অভিনেত্রী-লেখিকার কর্মসূচি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
যৌন হয়রানি রুখতে ৩০০ অভিনেত্রী-লেখিকার কর্মসূচি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার এমা স্টোন, ক্যাট ব্লানচেট ও নাটালি পোর্টম্যানের মতো অভিনেত্রীরাও

চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ কর্মস্থলে যৌন হয়রানি রুখতে একটি কর্মসূচি শুরু করেছেন হলিউডের ৩০০ অভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক। ‘টাইম’স আপ’ শীর্ষক এই উদ্যোগের বিষয়টি প্রখ্যাত দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসে পুরো এক পৃষ্ঠা বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) এ বিষয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, প্রভাবশালী চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি নামজাদা অভিনেত্রীদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ‘টাইম’স আপ’ সামনে এসেছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির এই প্রকল্পটিকে বলা হচ্ছে, ‘নারীদের জন্য বিনোদনশিল্পের নারীদের দিনবদলের ঐক্যবদ্ধ ডাক’।

‘টাইম’স আপ’ কর্মসূচির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘সংহতির চিঠি’তে বলা হয়েছে, ‘নারীদের ভেঙে পড়া, দুঃখ-কষ্টের সংগ্রাম শেষ হতেই হবে। এই একচেটিয়া মানসিকতার দিন শেষ। ...আর নীরবতা নয়, অপেক্ষা নয়, বৈষম্য, হয়রানি বা নিপীড়ন আর সহ্য করা হবে না, টাইম’স আপ (সহ্য করে যাওয়ার দিন শেষ)। ’

এই প্রচারণা কর্মসূচিতে শত শত নারীর মধ্যে রয়েছেন অস্কারজয়ী অভিনেত্রী নাটালি পোর্টম্যান, রিস উইদারস্পুন, ক্যাট ব্লানচেট, এভা লোঙ্গোরিয়া, এমা স্টোনের মতো জনপ্রিয় তারকারা।

উদ্যোগটিতে এরইমধ্যে তহবিল জমা হয়েছে ১৩ মিলিয়ন (১ কোটি ৩০ লাখ) ডলার। সংগৃহীত তহবিল ব্যবহার হবে কর্মস্থলে যৌন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার নারী বা পুরুষকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য।

গত অক্টোবরের শুরুতে প্রযোজক হার্ভের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ছড়ালে তার বিষয়ে মুখ খোলেন ইতালিয়ান অভিনেত্রী আসিয়া আর্জেন্তো, মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও গিনেথ প্যালট্রোও। হার্ভের বিরুদ্ধে তিন দশকে অন্তত আটজনকে যৌন নিপীড়ন করার অভিযোগের ধারাবাহিকতায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘মি টু’ (#meetoo) চালু হয়। এরমাধ্যমে অন্য নারীরাও যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা জানান দেন বিশ্বকে। এই গণ-আওয়াজে বিশ্বের অনেক রাজনীতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বকেও পদ থেকে সরে যেতে হয়।

সচেতনতামূলক সেই কর্মকাণ্ডেরই ধারাবাহিকতায় বৃহৎ পরিসরের এই ‘টাইম’স আপ’ চালু করা হলো বলে জানাচ্ছেন উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তারা আশা করছেন, রঙিন পাড়ায় ক্ষমতার অপব্যহারে এবার কিছুটা হলেও চিন্তা করতে হবে অপরাধপ্রবণ লোকদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৯, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।