চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাবেক সিনেটর ডেভিড পারডিউকে বেছে নিলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি এমনটি জানান।
তীব্র অবিশ্বাস আর বাণিজ্যিক টানাপোড়েন নিয়ে চলতে থাকা দুই দেশের সম্পর্ককে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য তিনি এই ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাবেক রাজনীতিবিদকে বেছে নিলেন।
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন,
তিনি (ডেভিড পারডিউ) এ অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি চীনের নেতাদের সঙ্গে কার্যকর কর্মসম্পর্ক গড়ে তোলার কৌশল বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
আগামী জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। এরইমধ্যে তিনি বলে রেখেছেন, বেইজিং যদি অত্যন্ত আসক্তি সৃষ্টিকারী মাদক ফেন্টানিলের পাচার বন্ধে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশের বেশি শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছিলেন।
২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সিনেটে জর্জিয়ার রিপাবলিকান সদস্য ছিলেন পারডিউ। তার ৪০ বছরের ব্যবসায়ী জীবন। আগে তিনি হংকংয়ে থাকতেন।
কয়েক দশক ধরে সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বেইজিং দূতাবাসে সাবেক রাজনীতিবিদদেরই নিয়োগ দেওয়া হতো। কিন্তু ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পেশাদার অভিজ্ঞ কূটনীতিক নিকোলাস বার্নসকে নিয়োগ দেন। পারডিউ মনোনয়নে আবার সেই ঐতিহ্য ফিরে আসার ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে।
ট্রাম্প তার প্রশাসনের অন্যান্য শীর্ষ পদে চীনবিরোধী নেতাদেরই মনোনীত করেছেন। এর মধ্যে সিনেটর মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আইওয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর টেরি ব্রানস্টাডকে বেছে নিয়েছিলেন।
ব্রানস্টেড চীনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ব্যবহার করে বাণিজ্যিক উত্তেজনা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবুও দুই পক্ষ নজিরবিহীন এক বাণিজ্যিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৪
আরএইচ