ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোখার আঘাতে মিয়ানমারে তিনজনের মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
মোখার আঘাতে মিয়ানমারে তিনজনের মৃত্যু রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিট্যুয়েতে মোখার আঘাতে ভেঙে পড়েছে মোবাইল টাওয়ার

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র এখন কক্সবাজার ও উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে। আজ (১৪ মে) বিকেলের মধ্যেই এটি উপকূল পার হয়ে যাবে।

আর সন্ধ্যার মধ্যেই পুরো ঝড় মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে এই উপকূল পার হবে।

দুপুর সোয়া একটায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান। তিনি বলেন, উপকূল পার হওয়ার সময় টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার।

এদিকে বার্ত সংস্থা এপি জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় মোচার বহিঃস্থ ব্যান্ড, প্রতি ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার (১১২-১১৮ মাইল) যা প্রতি ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) পর্যন্ত বেড়ে রোববার সকালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উপকূলে পৌঁছেছে। এদিন বিকেল নাগাদ, ঝড়ের কেন্দ্রটি সিটওয়ে শহরের কাছে ভূমিধসের সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিয়ানমারের আবহাওয়া বিভাগ।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত থেকে রক্ষায় শুক্রবার (১২ মে) থেকে সিত্তওয়ের ৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৪ হাজারের বেশি মানুষকে অন্য শহরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০ হাজারের বেশি মানুষ শহরের উঁচু এলাকায় অবস্থিত মঠ, প্যাগোডা এবং স্কুলের মতো মজবুত ভবনগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন টিন নিন ওও নামে এক ব্যক্তি, যিনি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সহায়তা করছেন।

তিনি আরও জানান, এছাড়া সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ মিটারেরও বেশি উঁচু এলাকায় বসবাসকারী অনেক স্থানীয় অনেক বাসিন্দার ধারণা ঝড়ের জলোচ্ছ্বাস তাদের কাছে পৌঁছাতে পারবে না, তাই তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে রাজি হননি।

এই ব্যক্তি তখন জানান, ঝড় এখনও প্রবেশ করেনি, তাই আমাদের খুব একটা অসুবিধা নেই। আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক লোক রয়েছে এবং যদিও সেখানে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই। ।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিটওয়েতে ঘূর্ণিঝড় মোচা আঘাত হানার আগে স্থানীয় একব্যক্তি প্রায় ফাঁকা রাস্তায় মোটরবাইক চালাচ্ছেন।

আর স্থানীয় একটি দাতব্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লিন লিন বলেছেন, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি লোক আসার পরে সিত্তওয়েতে আশ্রয়কেন্দ্রে পর্যাপ্ত খাবার ছিল না।

অপরদিকে রোববার সকালে মিয়ানমারে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের একটি উদ্ধারকারী দল তার ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া পেজে ঘোষণা করেছে যে তারা এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছেন। যারা টাচিলেক শহরে ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে নিজ বাড়িতে চাপা পড়েছিলেন।

স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের পাইন ও লুইন শহরে একটি বটগাছ পড়ে গেলে একজন ব্যক্তি তার নিচে চাপা পড়ে  মারা গেছেন। এছাড়া সিটওয়েতে, প্রবল বাতাসে একটি মোবাইল ফোনের টাওয়ার ধসে পড়েছে এবং অন্যান্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।