ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিনরের ‘টেক ট্রেন্ডস ২০২২’ উন্মোচন করল গ্রামীণফোন    

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
টেলিনরের ‘টেক ট্রেন্ডস ২০২২’ উন্মোচন করল গ্রামীণফোন
 

 

ঢাকা: টেলিনর গ্রুপের সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইউনিট ‘টেলিনর রিসার্চ’ এর প্রযুক্তি নিয়ে পূর্বাভাসের প্রতিবেদনের সপ্তম সংস্করণ উন্মোচন করা হয়েছে।  

এ প্রতিবেদনে কীভাবে প্রযুক্তি ও ডিজিটালাইজেশন গ্রিন ট্রান্সফরমেশনকে (সবুজ রূপান্তর) সক্ষম করে তুলতে পারে এর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।


 
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) জিপি হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেলিনরের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ করে গ্রামীণফোন।
 
টেলিনর রিসার্চের প্রধান বিওন তালে স্যান্ডবার্গ ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে মূল বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মহাপরিচালক (সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ; বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর, বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ উপস্থিত ছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেন।
 
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন এবং আমাদের ইকোসিস্টেমের ওপর এর প্রভাব ছিল ২০২২ সালে প্রযুক্তি পূর্বাভাসের মূলে। এ পূর্বাভাস অনুযায়ী, কীভাবে নতুন যুগের উন্নত কানেক্টিভিটি, জলবায়ু-বান্ধব শক্তি-সাশ্রয়ী আধুনিক হার্ডওয়্যার, এজ ক্লাউড এবং ফাইভজি প্রযুক্তি আরো পরিবেশবান্ধব হবে এবং এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্রিন জব স্কিলস এর চাহিদা এবং ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্লাইমেট মাইক্রো ডিগ্রি দেওয়ার বিষয়গুলোকে বাড়িয়ে তুলবে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শক্তি-সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ডিভাইস তৈরি করার প্রতিযোগিতা ও প্রবণতা বাড়বে। তরুণদের মধ্যে জলবায়ু সচেতন ইনফ্লুয়েন্সারের বৃদ্ধি ও জনপ্রিয়তা বাড়বে। কারণ, সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও জলবায়ু বিষয়ক সচেতন ব্যক্তিদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
 
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঠিক দিকনির্দেশনায় আমরা রূপকল্প ২০২১-এর লক্ষ্যমাত্রা কেবল অর্জনই করিনি, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প নিয়ে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমও করতে পেরেছি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তি অনুসারে আমরা সারা দেশে আইটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ল্যাব তৈরি করেছি। আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য কেন্দ্র তৈরি করেছি- ডিজিটাল লিডারশিপ একাডেমি এবং আরও অনেক ডিজিটাল অবকাঠামো এবং সেবা চালু করেছি। এগুলোর মাধ্যমে দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে ধাবিত হবে। এছাড়াও আমরা তরুণদের জন্য, বিশেষ করে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (সংক্ষেপে ‘শিফট’) নির্মাণ করছি।
 
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার মাধ্যমে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকায় আামি গ্রামীণফোন ও টেলিনরকে ধন্যবাদ জানাই। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো টেক ট্রেন্ডসের মাধ্যমে সামনের দিনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পূর্বানুমান উন্মোচন করেছে টেলিনর রিসার্চ। এ প্রতিবেদনে পূর্বানুমান করার কারণ ও এর ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
 
বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ তার বক্তব্যে চারটি বিষয়ে আলোকপাত করেন। বিষয়গুলো হলো- জ্বালানি সাশ্রয়; সাইট লেভেল ইনোভেশন; আরএএন (রেডিও অ্যাকসেস নেটওয়ার্ক) ও নেটওয়ার্ক ইক্যুইপমেন্ট ইনোভেশন; এবং উন্নত নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা ও অপ্টিমাইজেশন।  

তিনি বলেন, টেক ট্রেন্ডস থেকে প্রাপ্ত ফলাফলগুলো নিয়ে কাজ করতে কিংবা এগুলোর বিকাশে কীভাবে একসঙ্গে কাজ করা যায়, তা নিয়ে আমাদের কৌশল খুঁজে বের করতে হবে। আমরা ফাইভজি নীতিমালা নিয়ে কাজ করছি। আমরা অপারেটরদের সঙ্গে বসে তাদের তাদের পরামর্শও নিচ্ছি। তিনি গ্রামীণফোনের হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিং উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন, যা বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
 
বেলা’র প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বর্তমানে ই-বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ই-বর্জ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে এবং এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা সঠিকভাবে জানি না। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোক্তাদের আকর্ষণ করতে নতুন ডিজাইন বাজারে আনার চেয়ে পরিবেশের জন্য কিছু করতে চাইলে পণ্যের স্থায়িত্বের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এছাড়া আরেকটি বিষয় হচ্ছে, মানুষের সুরক্ষা। নেটওয়ার্ক টাওয়ারের বিকিরণ যাতে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ না হয়, সে ব্যাপারে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতন হতে হবে।
 
টেলিনরের হেড অব রিসার্চ বিয়ন টালে স্যান্ডবার্গ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয় নিয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি অনুধাবন করে সর্বত্রই মানুষ এখন সচেতন হচ্ছে। প্রযুক্তি কীভাবে সমস্যার অংশ না হয়ে পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে টেলিনরে তা অনুধাবন করাটাই আমাদের জন্য জরুরি।
 
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইয়াসির আজমান বলেন, ক্রমাগত জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে চরম জলবায়ুজনিত বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে, যা আমাদের টেকসই অর্থনীতির লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে। আমরা কীভাবে ভালো নেতৃত্বের অনুশীলনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি, যাতে পরবর্তী প্রজন্মের কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করে, এ বিষয়টিও চলতি বছরের প্রতিবেদনে আলোকপাত করা হয়েছে।
 
পূর্বাভাস ১: অচিরেই আসবে গ্রিন ক্লাউড 
 
টেলিনর রিসার্চের প্রধান বিওন তালে স্যান্ডবার্গ বলেন, ডেটা ব্যবহারের অত্যধিক প্রবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই, ক্লাউড কম্পিউটিংয়েও উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং এজ কম্পিউটিং সামনের বছরগুলোতে গ্রহণযোগ্য ব্যবধান তৈরি করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে। “আমাদের অনুমান বিশ্বব্যাপী ফাইভজি নেটওয়ার্কগুলো এজ ডেটা সেন্টারে এবং সেখান থেকে ডেটা ট্রাফিক স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে। আমাদের বিশ্বাস, ২০২২ সালে মোবাইল ডিভাইসের ফাইভজি’র মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি-সাশ্রয়ী এজ ডেটা সেন্টারগুলো ক্রমবর্ধমান হারে গড়ে উঠবে। ফলে, যেহেতু ডেটা ট্রাফিকের অংশ ও বিদ্যুৎ শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে স্থানান্তর করা হবে ডেটা ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে জ্বালানি সাশ্রয় হবে।
 
পূর্বাভাস ২: জলবায়ু বিষয়ক মাইক্রো-ডিগ্রির চাহিদা বৃদ্ধি
 
আধুনিক ক্যারিয়ারে কর্মী এবং নিয়োগকর্তাদের জলবায়ুবান্ধব হয়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে এবং এর সঙ্গে জীবনের সব ক্ষেত্রে সাস্টেইনেবিলিটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াও প্রয়োজনীয়তায় পরিণত হয়েছে। পরিবেশ বিষয়ক নীতি এবং বিধিমালা, ২০২২ সালে সবুজ কাজের (গ্রিন জব) দক্ষতা সংক্রান্ত চাহিদাও বৃদ্ধি করবে৷ স্যান্ডবার্গের ধারণা, কর্মীদের পরিবেশ সংক্রান্ত জ্ঞানের (গ্রিন নলেজ) চাহিদা মেটাতে ক্রমশ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের ‘‘পাঠ্যক্রমের’’ অংশ হিসেবে সবুজ মাইক্রো-ডিগ্রি এবং কোর্স চালু করবে। যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চাকরির সময় অনলাইনে সবুজ বিষয়ক শিক্ষা অর্জনের সুযোগ দিতে ব্যর্থ হবে, সেসব প্রতিষ্ঠান নতুন প্রতিভাবান তরুণদের কাছে কম আকর্ষণীয় বলে গণ্য হবে।
 
পূর্বাভাস ৩: সবকিছুর অপটিমাইজেশন
 
সারা বিশ্বে এনার্জি এফিশিয়েন্সি বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ার ফলে ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারকদের মধ্যে ‘‘সবকিছুর অপ্টিমাইজেশন’’ নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরির সুযোগ রয়েছে। স্যান্ডবার্গ সতর্ক করে বলেন, বর্তমানে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সংখ্যা মানুষের চেয়ে চারগুণ এবং ভবিষ্যতে এগুলো আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করবে। যেহেতু আমাদের শক্তি সরবরাহ রূপান্তরে সময় প্রয়োজন হবে, তাই আমাদের সবকিছু অপ্টিমাইজ করতে হবে।  

তিনি বলেন, আগামীতে, আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এ অপ্টিমাইজেশন যুদ্ধে জয়ী হতে প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং রিসোর্স অর্জনে প্রচুর অর্থ ব্যয় করবে।
 
পূর্বাভাস ৪: গ্রিনফ্লুয়েন্সারদের আবির্ভাব
 
তরুণদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সক্রিয় থাকার ওপর গুরুত্ব দেওয়া বর্তমানে ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৬) হতাশার ইঙ্গিত এবং ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (আইপিসিসি) ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহতার স্মৃতি, এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভার্চ্যুয়াল জগতে ‘‘গ্রিনফ্লুয়েন্সিং’ নামের নতুন আন্দোলন সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। স্যান্ডবার্গ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে এখন বেশ কিছু জলবায়ু-সচেতন ইনফ্লুয়েন্সার ও অ্যাক্টিভিস্ট দেখা যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, ইনফ্লুয়েন্সার জগতে যারা অধিক প্রভাব বিস্তারে সক্ষম, তাদের কাছ থেকে তাদের ক্রমবর্ধমান ফলোয়ার বেস যথাযথভাবে এ বিষয়গুলো জানতে পারবে।  

তিনি আরও বলেন, যেসব ইনফ্লুয়েন্সাররা জলবায়ু চ্যালেঞ্জের ব্যাপারে গুরুত্ব দেবে না বা উদাসীনতা দেখাবে, তারা পুরাতন হিসেবে বিবেচিত হবে। এর পরিবর্তে, ফলোয়াররা সেসব ইনফ্লুয়েন্সারদের কাছে ভিড় করবে, যারা নিজেদের ক্যাটাগরি নির্বিশেষে জলবায়ু সচেতনতা প্রদর্শন করে। বিপণনকারীরাও এ একই দিকে মনোনিবেশ করবে।
 
ট্রেন্ড ৫: ‘‘লস্ট জেনারেশন’’ এর কাছে হেরে যাবেন না
 
বাড়ি থেকে কাজ করা এবং এ ধরনের ট্রেন্ডগুলো প্রাতিষ্ঠানিক বিচার ও সংস্কৃতিকে নতুন রূপ দিচ্ছে। আর এরই সঙ্গে ‘‘গ্রেট রেজিগনেশন’’ এর সম্মুখীন না হতে চাইলে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই পরবর্তী প্রজন্মের প্রত্যাশাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালে তরুণদের জন্য ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক স্থাপন ও বৃদ্ধি এবং কর্পোরেট ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে সাধারণ ধারণা অর্জন বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ, শুধুমাত্র ডিজিটালভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে নতুন সামাজিক সম্পর্ক গঠন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।  

স্যান্ডবার্গ বলেন, যথাযথভাবে নেতৃত্ব দেওয়া না হলে যেসব তরুণ সঠিকভাবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার সুযোগ পাননি, ২০২২ সালে অনেক প্রতিষ্ঠান সেসব তরুণ কর্মীদের একটি বড় অংশকে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে দেখবে।
 
ভবিষ্যতের কাজের পদ্ধতির মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মকে কীভাবে নেতৃত্ব দেওয়া যায় সে সম্পর্কে তিনি নিম্নোক্ত তিনটি পরামর্শ দেন: ১। অফিসকে উপভোগ্য করে তুলুন; ২। বয়স ও চাকরির স্থায়িত্বকালের সঙ্গে দায়িত্বও বাড়ে; ৩। তাদের সফল করে তুলুন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
এমআইএইচ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।