ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পণ্য-সেবা লেনদেনের ৭০ শতাংশ হতে পারে ই-কমার্সে: মাহতাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
পণ্য-সেবা লেনদেনের ৭০ শতাংশ হতে পারে ই-কমার্সে: মাহতাব ...

ঢাকা: ই-কমার্সের বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, পণ্য-সেবা লেনদেনের ৭০ শতাংশ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে হতে পারে, যা বর্তমানে ৫ শতাংশের মতো। সম্ভাবনাময় এই খাতকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার।

ই-ক্যাব ও রবির উদ্যোগে আয়োজিত ‘অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্যে প্রয়োজন সমৃদ্ধ ই-কমার্স’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রবির সিইও বলেন, গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করতে হলে ই-কমার্সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, মেশিন লার্নিং ম্যাকানিজম, ভিআর, এআর ইত্যাদি প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। এক্ষেত্রে বহির্বিশ্ব থেকে আমাদের পিছিয়ে থাকলে হবে না, বরং আমাদের থাকতে হবে অগ্রণী ভূমিকায়।

ডিজিটাল পেমেন্টের ওপর গ্রাহকদের আস্থা বাড়ানোর লক্ষ্যে পণ্যের মান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন মাহতাব।

পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপর জোর দিয়ে রবির সিইও বলেন, আমাদের দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো যে পণ্য বিক্রি করে তার ৮০-৮৫ শতাংশ হচ্ছে গ্যাজেট, বাকি ১৫-২০ শতাংশ হচ্ছে ফ্যাশন সম্পর্কিত পণ্য। অথচ বহির্বিশ্বে সব কিছু বিক্রি হয় ই-কমার্সে। আমাদের ধীরে ধীরে ওই লক্ষ্যের দিকে এগোতে হবে। আবার শুধু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের ৮৫ শতাংশ পণ্য বিক্রি হয়। এক্ষেত্রে সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করে পুরো দেশকে ই-কমার্সের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে।

ডিজিটাল কমার্স পলিসি-২০১৮ করায় সাধুবাদ জানিয়ে এর বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে বহুজাতিক টেলিকম কোম্পানির এই দেশীয় সিইও বলেন, পাশাপাশি ই-কমার্সের বিকাশে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য ভ্যাট-ট্যাক্স-শুল্ক ইত্যাদি ক্ষেত্রে ছাড় এবং প্রণোদনা দেওয়ার গুরুত্ব দিতে হবে।
 
রবির উদ্যোগে ডিজিটাল উদ্যোক্তা গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্ম আর-ভেঞ্চারের পরবর্তী পর্বে ই-ক্যাবকে যুক্ত করার আশাবাদও জানিয়েছেন রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও।
ওয়েবিনারে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, করোনা মাহামারির ফলে ই-কমার্সের প্রয়োজন ও চাহিদা বেড়েছে। এ পরিস্থিতি কবে শেষ হবে তা অনিশ্চিত। তাই আমাদের অর্থনীতিকে সচল রাখতে ই-কমার্সকে চাঙ্গা রাখতে হবে। এতে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস বা এমএফএস-এর জন্যও একটা বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে।  

ই-ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, করেনা মহামারিতে ই-কমার্সের চাহিদা বেড়েছে। কার্যত লকডাউনের সময় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলো। আজকের পৃথিবীতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য দরকার ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ। এ লক্ষ্যে আমাদের দেশের ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।