ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার পর্দা উঠছে বৃহস্পতিবার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার পর্দা উঠছে বৃহস্পতিবার

ঢাকা: প্রযুক্তির মহাসড়ক ফাইভ জি’র বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শনে দেশে এই প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মেলার উদ্বোধন করবেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকায় বিআইসিসি’র উইন্ডি হলে মেলা উপলক্ষে  সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণের অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি নিয়ে এবারের মেলার আয়োজন বলে জানান মন্ত্রী।

তিনি জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সঙ্গে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ  মেলা’র অন্যতম মূল লক্ষ্য।

ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’।

মেলায় আইএসপিসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে।

ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাবে। এছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ ব্যবহারের উপযোগিতা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাবে। জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ভিশন মেলার মাধ্যমে টেলিমেডিসিন দেখাবে।

মেলায় লাইভ দেখা যাবে ফাইভ-জি। ফাইভ-জি প্রযুক্তি কেবল মোবাইলে কথা বলা কিংবা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রযুক্তি না। বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মতোই শিল্পের জন্য এই প্রযুক্তি অত্যাবশ্যক। ফাইভ-জি প্রযুক্তি হচ্ছে আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা কিংবা ব্লকচেইন প্রযুক্তির মহাসড়ক এর পথনকশা তৈরির জন্য কাজ করছি আমরা।

এতে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ২৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সব সংস্থা এতে অংশ নেবে। এছাড়া আইএসপি প্রতিষ্ঠান, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি তিন পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, মোবাইল ফোন অপারেটরসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে।

মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে।

এছাড়া ১৩টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী এবং দেশি ও বিদেশি অভিজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন। ট্যালেন্ট গ্যাপ, ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল গ্রোথ, এসডিজির অ্যাচিভমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে বক্তারা কথা বলবেন।

মেলায় ডিজিটাল ডাক ঘর উদ্যেক্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বেলা আড়াইটায়। এছাড়া বিকেল ৫টায় ডিজিটাল অর্থনীতি: শিল্প ও বাণিজ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনারে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

শেষ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ডিজিটাল বাংলাদেশ- এ দু’টি বিষয়ের ওপর শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের জন্য উন্মুক্ত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

১৮ জানুয়ারি (শনিবার) তিন দিনব্যাপী এই মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল উপস্থিত থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।