ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

পর্দা নামলো ১৯তম আসরের, ২০তম এপিকটা মালয়েশিয়ায়

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
পর্দা নামলো ১৯তম আসরের, ২০তম এপিকটা মালয়েশিয়ায়

হা লং, ভিয়েতনাম থেকে: টানা পাঁচ দিনের আয়োজন শেষে পর্দা নামলো এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (এপিকটা) ২০১৯-এর। জমকালো উদ্বোধনের মতোই জাঁকালো সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শেষ হল বিশ্বে আইসিটি খাতের ‘অস্কার’ নামে পরিচিত এই আসরের।

এবারের আয়োজক ছিল ভিয়েতনাম, আগামী বছর ২০তম এপিকটা অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের গৌরব পেতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।  

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ভিয়েতনামের হা লং শহরের ডায়মন্ড প্যালেস হল এ আয়োজিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠান।

যদিও সূচি অনুযায়ী শনিবার (২৩ নভেম্বর) আসরের শেষ দিন। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ফান টাম। ভিয়েতনাম আইটি এন্ড সফটওয়্যার এসোসিয়েশনের (ভিনাসা) সহ-সভাপতি লু থাং লং এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোয়াং নিন প্রদেশের পিপলস কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ভু থি থু থুই এবং এপিকটা প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ।  

ভিনাসার মহাসচিব নীগুয়েন থি থু জাং, এপিকটার ভাইস চেয়ারম্যান ফুলভিও ইনসেরাসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধি এবং নির্বাহী কমিটির সদস্যরাসহ প্রতিযোগীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কার প্রদানের পূর্বে আলোচনা পর্বে ভিয়েতনামের তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ফান টাম বলেন, এমন একটি সফল আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই। ১৬টি দেশের ২৫০টি দলকে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের মাঝে যারা পুরস্কার পাচ্ছেন তাদের প্রতি শুভেচ্ছা। তবে যারা পাবেন না তারাও জয়ী। কারণ আপনারা হা লং-এর  মতো দারুণ একটি শহর ঘুরে গেলেন। ৭৬জন বিচারকদের আমি অভিনন্দন জানাই। আইটি ভিয়েতনামের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। বিশ্বে স্মার্টফোন উৎপাদন ও রপ্তানিতে আমরা এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। দশ বছর আগেও এই খাতে আমাদের আয় ছিল ছয় বিলিয়ন যা এখন সাত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  

এপিকটা চেয়ারম্যান স্ট্যান সিংঘ প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই আসর শুধু পুরস্কার না বরং এই পুরো আয়োজন আপনাদের শেখার জন্য, এক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের জন্য। আপনারা বন্ধু তৈরি করুন যেন আপনারা যখন নিজেদের দেশে ফিরে যাবেন তখন দারুণ কিছু স্মৃতি নিয়ে যাবেন। যদি পুরস্কার নাও জেতেন, এখানকার অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে যান, পরের বার আবার ফিরে আসুন, আবার লড়াই করুন। কখনো হাল ছাড়বেন না।  

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কোয়াং নিন প্রদেশের পিপলস কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ভু থি থু থুই।  

এর আগে এপিকটার কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে মালয়েশিয়াকে ২০তম আসরের আয়োজক দেশ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আগামী বছরের মার্চে পরবর্তী সভায় দেশটির কোন শহরে এপিকটা অনুষ্ঠিত হবে তা নির্ধারিত হবে।  

এবারের আসরে ভিয়েতনামসহ এপিকটার অন্য ১৫ সদস্য রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনেই, চীন, তাইওয়ান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, ম্যাকাও, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড থেকে ২৫০টি দলে মোট ৩২৪টি প্রকল্প আবেদন জমা পড়ে। ২৫টি প্যানেলে ৭৬ জন বিচারক এসব প্রকল্পে বিচারক হিসেবে কাজ করেন। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ৩৫টি দলে ৩৭টি প্রকল্প এবং ৫ জন বিচারক ছিলেন।  

এবারের আসরে বাংলাদেশ নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার অর্জন করে। তিনটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন এবং চারটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি মেরিট পজিশন অর্জন করে বাংলাদেশ।  

.বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩,২০১৯
এসএইচএস/জেআইএম

আরও পড়ুন>>
** বছরে ১৪ মিলিয়ন পর্যটক আসে হা লং-এ: ডং হুই হাউ​
** এপিকটায় অংশ নেবে দেশের ৩২ প্রকল্প​
** ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসর
**এপিকটায় শেষ হলো বাংলাদেশের দলগুলোর ইকুইপমেন্ট টেস্ট​
** প্রথম রাউন্ডে পিচ করলো দেশের ১৬টি দল​
** এপিকটায় পিচিং করছে দেশের ১৮টি প্রকল্প​
** মেধাবীদের দেশেই রাখতে চান বেসিস সভাপতি
**প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয়বার আশাবাদী বন্ডস্টাইন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।