ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘মোবাইলে বিজ্ঞাপনের কল-এসএমএসে আমিও বিব্রত’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
‘মোবাইলে বিজ্ঞাপনের কল-এসএমএসে আমিও বিব্রত’ বিটিআরসি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক/ছবি: শাকিল

ঢাকা: গ্রাহকদের মতো নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক মোবাইল ফোনে আসা বিজ্ঞাপনের অযাচিত এসএমএস নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

গ্রাহকদের সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়- সে ব্যাপারে মোবাইল ফোন অপারেটরদের তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) অডিটরিয়ামে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানিতে এ নির্দেশ দেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।


 
গণশুনানিতে গ্রাহকেরা ইন্টারনেটের ধীরগতি, প্যাকেজের দাম বেশিসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। একাধিক গ্রাহক মোবাইল ফোনে ভয়েস কল ও এসএমএসে আসা বিজ্ঞাপনের বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।  
 
গ্রাহকদের মতো বিটিআরসি চেয়ারম্যানও বলেন, বিজ্ঞাপন নিয়ে কম বেশি সবাই বলেছেন। এটা আমারও কথা। …আমিও বিব্রত হই। কীভাবে সমস্যা সমাধান হয় সে ব্যাপারে তৎপর হন।
 
বিটিআরসি চেয়ারম্যান সার্ভিসের ব্যাপারে বলেন, সার্ভিসের ব্যাপারে আমি নিজেও সন্তুষ্ট না। কেউ সন্তুষ্ট না। প্রযুক্তির ব্যাপারে কেউ কখনো সন্তুষ্ট হয় না। আজ এক প্রযুক্তিতে আছেন, কাল অন্য প্রযুক্তি। প্রযুক্তি চলতেই থাকবে, সমস্যা থাকবে সমস্যার সমাধানও হবে।
 
কমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, ২০০১ সালে বিটিআরসির রাজস্ব আয় ছিল তিন কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এখন রাজস্ব আয় দশ হাজার কোটি টাকা। ভালো কাজ করতে গিয়ে কিছু সমস্যা হয়, সমস্যা এক দিনে দূর হয়ে যাবে না, কেয়ামত পর্যন্ত সমস্যা থাকবে। আমরা কতটুকু এগোতে পারলাম সেটি বড় কথা।
 
গণশুনানি কমিটির সভাপতি ও বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগগুলো নিশ্চয়ই কমিশন সমাধান করবে। কল সেন্টার সপ্তাহে ৫ দিন ছিল। এখন সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে। ফেসবুকসহ ওয়েবসাইটে অভিযোগ নেওয়া হবে।
 
আমরা অনেক ধরনের অভিযোগের কথা শুনলাম। কিছু অভিযোগের তাৎক্ষণিক সমাধান দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোর শিগগিরই জবাব দেওয়া হবে।
 
‘অপারেটরের যারা আছেন, কী কী অভিযোগ এসেছে তা শুনেছেন, কী কী সমস্যা? আমরা এটুকু শুনেছি আমরা আপনাদের বেশি বেশি সমর্থন করি! সত্যিকার অর্থে বিটিআরসি কখনো কাউকে সমর্থন করে না। আইন যেভাবে আছে আমরা সেভাবে আচরণ করি। ’
 
চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ফেসবুকের মেম্বার না। ফেসবুক আমাদের কথা কখনো শোনে না। শুধু বেশি কাস্টমার থাকার জন্য বিটিআরসি যখন অনুরোধ করে তখন কিছু কিছু কাজ করে।
 
মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছে আমরা খুবই তৎপর। আমরা টেস্ট করেছি, রেডিয়েশন নিয়ে ভয়ের কোনো কারণ নেই।
 
গণশুনানিতে বিটিআরসির কমিশনার (স্পেকট্রাম) মো. আমিনুল হাসান, কমিশনার (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন) মো. রেজাউল কাদের, কমিশনার (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) মো. মহিউদ্দিন আহমেদ ও বিভিন্ন বিভাগের মহাপরিচালকরা অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের উত্তর দেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।