ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘বর্তমান উন্নয়ন-সমৃদ্ধির প্রেরণাদাতা ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
‘বর্তমান উন্নয়ন-সমৃদ্ধির প্রেরণাদাতা ছিলেন ওয়াজেদ মিয়া’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা:  ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সময়ে দেশের যে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে সোপান তৈরি হয়েছে তার প্রেরণাদাতা ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। একজন প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হয়েও ড. ওয়াজেদ মিয়া সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতেন।’

বৃহস্পতিবার (০৯ মে) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।  

পরমাণু বিজ্ঞানী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানী হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন সত্ত্বা এবং এ দেশটি অর্জনের ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অসাধারণ ও অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর জামাতা হিসেবে বস্তুতপক্ষে যে পরিমাণ বা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় তার উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন ছিল তা তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন।
 
‘একটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বিজ্ঞান চর্চা বেশি প্রয়োজন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়ে গেছেন। আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, চতুর্থ বিপ্লবের কথা বলি তখন কিন্তু বিজ্ঞান চর্চার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ড. ওয়াজেদ মিয়ার মতো মানুষের অনেক দরকার ছিল।  

‘আশা করি আমাদের নতুন প্রজন্ম থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে অনুসরণ করার মতো আমরা অনেক সন্তান পাবো, যারা বিজ্ঞান চর্চা করবে, পৃথিবীর ডিজিটাল রুপান্তরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। ’ 
 
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশবরণ্য বিজ্ঞানী-ই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী সাহসী দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল স্বামী। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তীক্ষ্ম মেধাবী ছাত্র।  

‘ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হলের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমাদের উচিৎ ওয়াজেদ মিয়ার শিক্ষা ও জ্ঞানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করা। ’
 
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তিনি (ওয়াজেদ মিয়া) বিজ্ঞানের যুক্তি দিয়েই সবকিছু বিবেচনা করতেন। সেই বিজ্ঞানমনষ্কতা তার জীবনের প্রত্যেকটি কর্মে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে তার স্বপ্ন ছিল। তার সে স্বপ্ন নিয়েই  বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।  
  
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এফ এম মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
এসএইচএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।