ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম বন্ধ হচ্ছে ২৫ এপ্রিল রাতে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এক গ্রাহকের ১৫টির বেশি সিম বন্ধ হচ্ছে ২৫ এপ্রিল রাতে সিমকার্ডের প্রতীকী ছবি

ঢাকা: একজন গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে নিবন্ধনকৃত ১৫টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে আগামী ২৫ এপ্রিল মধ্যরাতে (রাত ১২টার পর)। তবে করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে না।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, পাঁচটি অপারেটরের ২০ লাখ ৪৯ হাজার সিম ওই রাতে নিষ্ক্রিয় করা হবে। এক এনআইডির বিপরীতে অসংখ্য সিম নিয়ে অপরাধ প্রবণতা থেকে মুক্ত রাখতে অতিরিক্ত সিম বন্ধ করা হচ্ছে।

 

নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সব গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসির কাছে রক্ষিত আছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কার কাছে কতটি সিম রয়েছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি করছে সরকার।  

বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান বাংলানিউজকে জানান, ২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে এক এনআইডির অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় হয়ে যাবে।

বিটিআরসি জানায়, অতিরিক্ত সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের চার লাখ ৬১ হাজার, বাংলালিংকের চার লাখ ৫৫ হাজার, রবি’র চার লাখ ১৯ হাজার এবং টেলিটকের চার লাখ ৮৭ হাজার সিম বন্ধ করা হবে।  

এরআগে কয়েক দফায় ১৫টির বেশি সিম নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

বিটিআরসি সর্বশেষ ব্যক্তি পর্যায়ে সিমের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একজন গ্রাহকের প্রি-পেইড, পোস্ট পেইড মোবাইল অপারেটর নির্বিশেষে সিম/রিমের সর্বমোট সংখ্যা ১৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন থেকে উক্ত সীমার বাইরে কোনো গ্রাহক (করপোরেট গ্রাহক ব্যতীত) সিম/রিম নিবন্ধন করতে পারবেন না।  

তবে গ্রাহকের সুবিধার্থে কোন সিমগুলো চালু রাখা হবে তার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।  

এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এরইমধ্যে যেসব গ্রাহক উক্ত সীমা (১৫টির বেশি) অতিক্রম করেছেন সেসব গ্রাহককে আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে নিজে হাজির হয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অতিরিক্ত সিম/রিম নিষ্ক্রিয় করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

‘উক্ত সময়সীমার পর সব গ্রাহকের সর্বোচ্চ সীমার অতিরিক্ত সিম/রিম কমিশন নির্ধারিত পদ্ধতির ভিত্তিতে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ’ 

প্রয়োজনীয় সিম বন্ধ হওয়ার আগেই সিমের সংখ্যা নির্ধারিত সীমার মধ্যে নিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি।

বিটিআরসি জানায়, এখন থেকে নির্ধারিত সীমার বাইরে কোনো গ্রাহক (করপোরেট গ্রাহক ছাড়া) সিম নিবন্ধন করতে পারবেন না। করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য সিম/রিম ক্রয়ের জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি (পয়েন্ট অব কন্টাক্ট) উক্ত সর্বোচ্চ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।  

নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানারও সুযোগ করে দিয়েছে বিটিআরসি।  

গ্রাহক তার নামে কত সংখ্যক সিম রয়েছে তা *১৬০০১# ডায়াল করে ফিরতি রিপ্লাই অনুসরণ করে বিনামূল্যে সংখ্যা জানা যাবে।

২০১৬ সালের ১২ জুন সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহক প্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে এই সংখ্যা কমিয়ে ৫টি নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ২০১৭ সালে ১৫টি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল।  

বিটিআরসির সর্বশেষ মার্চের হিসেবে দেখা গেছে দেশে মোট ১৫ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার সিমের মধ্যে গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৪০ লাখ ৫৩ হাজার, রবির ৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার এবং টেলিটকের ৪০ লাখ ১৪ হাজার সিমের গ্রাহক রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।