ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুরু হলো বিপিও সামিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
শুরু হলো বিপিও সামিট

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সের (বাক্য) উদ্যোগে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী বিপিও সামিট-২০১৯। 

রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে টানা চতুর্থবারের মতো আয়োজিত করা হয়েছে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের।  

রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি হিসেবে বিপিও সামিট-২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

 

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক এবং বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।  

উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বিপিওসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত যে উন্নয়ন গত ১০ বছরে হয়েছে তার কিছুই আগে ছিল না। এত দ্রুত এমন উন্নয়ন বিশ্বের খুব কম দেশই করতে পেরেছে, যা বাংলাদেশ করে দেখিয়ে দিয়েছে। আর এই সব আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে হয়েছে।  

বিপিও বা বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং খাতকে একটি সম্ভাবনাময়ী খাত হিসেবে উল্লেখ করে আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, এই খাতে যেন আমাদের তরুণ তরুণীরা ক্যারিয়ার গড়তে পারে তার জন্য আমরা প্রতি বছর ৫০ হাজার শিক্ষার্থীদের আইটি, আইসিটি প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আর নারীদের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এদের মধ্যে ৩০ শতাংশই নারীদের রাখা হয়েছে। এছাড়াও আলাদা করে প্রতিবছর আরও ১০ হাজার নারীদের আমরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।  

‘আমরা স্বপ্ন দেখি, বিশ্বে নলেজ ইন্ডাস্ট্রি, হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ। সামনে যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসবে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা। ’ 

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থান তৈরিতে বিপিও একটি সম্ভাবনাময়ী খাত। কারণ এই খাতে কাজ করতে হলে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। কম্পিউটারের সাধারণ ধারণা এবং যোগাযোগের দক্ষতা থাকলেই এখানে কাজ করা যায়। এই খাত নারীদের জন্য একটি নিরাপদ কর্মসংস্থান আমাদের দিয়েছে।  

আর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বিপিওখাতে এখন পর্যন্ত আমাদের প্রবৃদ্ধি ৩০ শতাংশ। বাংলাদেশে এই খাতে প্রায় ৫০ হাজার ছেলে-মেয়ে কাজ করে যারা প্রায় প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আয় আমাদের এনে দিচ্ছে। আগামী পাঁচবছরের মধ্যে আমরা আরও ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীকে এইখাতে আনতে চাই। তখন এ খাতে আমাদের বাৎসরিক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।  

চতুর্থ বিপিও সামিট ২০১৯ চলবে সোমবার (২২ এপিল পর্যন্ত)। ‘ট্রান্সফর্মিং সার্ভিসেস টু ডিজিটাল’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আয়োজিত এবারের সম্মেলনে থাকছে ১২টি সেশনে ৮টি সেমিনার।  

এছাড়া তিনটি গোলটেবিল আলোচনা হবে। এসব সেমিনার ও বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত এবং যুক্তরাজ্যের ৯০ জন বিদেশি বক্তা ছাড়াও মোট ১৩২জন বিশেষজ্ঞ তাদের বক্তব্য রাখবেন।   

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, বাক্য সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ আইসিটি এবং বিপিও খাতের দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৯
এসএইচএস/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।